নয়া দিল্লি: মঙ্গলবারই ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস। গোটা দেশ তৈরি হচ্ছে স্বাধীনতার অমৃতকাল উদযাপনের জন্য। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সবথেকে বড় অনুষ্ঠানটি হয় দিল্লির লাল কেল্লায়। প্রতি বছরের মতো এবারও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি। তবে, প্রথম থেকেই মোদী সরকার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানকে নিছক সরকারি অনুষ্ঠানের পরিসরে বেঁধে না রেখে, জনগণের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। এবারের স্বাধীনতা দিবসেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকা থেকে শুরু করে সেলফি প্রতিযোগিতা, বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত করা হচ্ছে।
স্বাধীনত দিবসে প্রায় ১,৮০০ জন ‘বিশেষ অতিথি’-কে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই অতিথি তালিকায় রয়েছেন, প্রান্তিক বিভিন্ন গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান, কৃষি উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প এবং প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার সুবিধাভোগীরা, কেন্দ্রীয় ভিস্তা প্রকল্পের নির্মাণকর্মীরা, খাদি কর্মীরা, সড়ক নির্মাণ, অমৃত সরোবর এবং হর ঘর জল যোজনার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, নার্স এবং মৎসজীবীরা। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। মেজর নিকিতা নায়ার এবং মেজর জেসমিন কওর জাতীয় পতাকা উত্তোলনে প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করবেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে, ‘লাইন অ্যাস্টার্ন ফর্মেশনে’ ভারতীয় বায়ুসেনার দুটি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার মার্ক-৩ ‘ধ্রুব’ অনুষ্ঠানস্থলে ফুলের পাপড়ি বর্ষণ করবে।
তবে, এবারের স্বাধীনতা দিবসের অন্যতম আকর্ষণ সরকার আয়োজিত সেলফি প্রতিযোগিতা। মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং উদ্যোগের বিষয়ে দিল্লির ১২টি জায়গায় ১২টি ‘সেলফি পয়েন্ট’ স্থাপন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সেলফি পয়েন্টগুলিতে সাধারণ মানুষ সেলফি তুলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সামিল হতে পারবেন। সরকারের মাইগভ (MyGov) পোর্টালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি অনলাইন সেলফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। ১৫ থেকে ২০ অগস্টের মধ্যে এই পোর্টালে, সেলফি পয়েন্টগুলিতে তোলা ছবি পোস্ট করা যাবে। প্রতিটি সেলফি পয়েন্টে তোলা একটি করে সেলফি বেছে নিয়ে মোট ১২ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। বিজয়ীরা প্রত্যেকে ১০,০০০ টাকা করে অর্থ পুরস্কার পাবেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে ‘হরঘর তিরাঙ্গা’ প্রচারও চালু করেছে সরকার। ১৩ থেকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত এই প্রচারে অংশ নিতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রচারের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলির প্রোফাইল ছবি বদলে, ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি দিয়েছেন। দেশের প্রত্যেক নাগরিককেও, তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ডিসপ্লে পিকচার বদলে জাতীয় পতাকার ছবি দিতে অনুরোধ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এই অনন্য প্রচেষ্টা আমাদের প্রিয় দেশ এবং আমাদের মধ্যে বন্ধনের গভীরতা বাড়িয়ে তুলবে।”