নয়া দিল্লি: ‘অগ্নিপথ’ (Agnipath Scheme) বিতর্ক নিয়েই আপাতত অগ্নিগর্ভ গোটা দেশ। তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর চাকরিও অস্থায়ী করে দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে যুব প্রজন্ম। বিহার, হরিয়ানার মতো একাধিক রাজ্যে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কোথাও ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে এত জলঘোলা হওয়ার কারণেই নিয়োগের বয়সসীমায় সামান্য পরিবর্তন আনল কেন্দ্রীয় সরকার। সর্বাধিক বয়সসীমা ২১ বছর থেকে বাড়িয়ে ২৩ বছর করা হল। তবে বয়সসীমার এই পরিবর্তন শুধু এই বছরের জন্যই করা হয়েছে, তাও সাফ জানিয়েছে কেন্দ্র।
অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে জলঘোলা ও বিতর্ক বাড়তেই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় যে, অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ বছর থেকে পরিবর্তন করে ২৩ বছর করা হচ্ছে। তবে নিয়মের এই পরিবর্তন শুধুমাত্র চলতি বছরের জন্যই কার্যকর। বিগত দুই বছর ধরে দেশের তিন বাহিনীতে নিয়োগ না হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
पिछले दो वर्ष कोरोना महामारी के कारण सेना में भर्ती प्रक्रिया प्रभावित हुई थी, इसलिए प्रधानमंत्री श्री @narendramodi जी ने ‘अग्निपथ योजना’ में उन युवाओं की चिंता करते हुए पहले वर्ष उम्र सीमा में दो वर्ष की रियायत देकर उसे 21 साल से 23 साल करने का संवेदनशील निर्णय लिया है।
— Amit Shah (@AmitShah) June 17, 2022
কেন্দ্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিগত দুই বছর ধরে যে কোনও নিয়োগ হয়নি, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই সরকারের তরফে এককালীন সেনাবাহিনীতে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য বয়সসীমায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ২০২২সালের অগ্নিপথ প্রকল্পের ক্ষেত্রে নিয়োগের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করা হচ্ছে।”
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই কেন্দ্রের তরফে প্রতিরক্ষাবাহিনীতে নিয়োগের নতুন পদ্ধতির কথা ঘোষণা করা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই যেমন স্বাগত জানিয়েছেন, তেমনই আবার দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হরিয়ানা, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ডের মতো একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
সদ্য ঘোষিত এই প্রকল্পে দেশের তিন বাহিনী- সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা ও নৌসেনায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর বয়সী যুবক-যুবতীরা এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবে। মাসে ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা চুক্তির ভিত্তিতে চার বছরের জন্য তাদের নিয়োগ করা হবে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেনাবাহিনীতে শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মাত্র ২৫ শতাংশকে পাকাপাকিভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। বাকিদের আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তবে অগ্নিবীরদের জন্য় কোনও পেনশনের ব্যবস্থা থাকবে না।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, সেনাবাহিনীর মতো সরকারি চাকরিতেও বেসরকারিকরণের ছোঁয়া আনছে কেন্দ্র। সেনার চাকরিও সুরক্ষিত থাকছে না আর, তাদের চুক্তিভিত্তিক কর্মীতে পরিণত করা হচ্ছে।