নয়া দিল্লি: দেশে হু হু করে বেড়েই চলেছে ওমিক্রন(Omicron)। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই ১০০-২০০ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণও (COVID-19)। বিগত কয়েকমাস ধরে সংক্রমণ ৩ থেকে ৫ হাজারের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকলেও, বর্তমানে তা ১০ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। দেশে আচমকাই এই করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য গোটা বিশ্বের সংক্রমণ বৃদ্ধিকেই দায়ী করছে কেন্দ্র (Central Ministry)।
বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ভারতে হঠাৎ করে যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তা গোটা বিশ্বে সংক্রমণ বৃদ্ধিরই একটি অংশ হতে পারে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্য়েই প্রায় গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। যে দেশেই আক্রান্তের খোঁজ মিলছে, এক সপ্তাহের মধ্যেই সেখানে আক্রান্তের হার দ্বিগুণ-তিনগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত কয়েকদিন ধরে বিশ্বজুড়েই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভারতেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫-৬ হাজার থেকে বেড়ে ১০-১৫ হাজারে পৌঁছেছে, এমনটাই জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল(Dr. VK Paul)।
ডঃ ভিকে পাল বলেন, “বর্তমানে ভারতের আর ভ্যালু (R Value) ১.২২-এ বেড়ে দাঁড়িয়েছে। এর অর্থ হল দেশে আক্রান্তের সংখ্য়া ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপাত, মৃত্যু হারে তেমন একটা বৃদ্ধি হয়নি, যা স্বস্তিদায়ক। তবে এই সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে ওমিক্রন, এমনটাই আমাদের ধারণা। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা গেলে, কেন্দ্রের তরফে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।”
করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক করে ডঃ ভিকে পাল বলেন, “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অতি সংক্রামক।সংক্রমণের দ্রুত বৃদ্ধি সেই কথাই জানান দিচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে, সংক্রমণ কতটা গুরুতর হতে পারে, তা এখনও অজানা থাকলেও এটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।”
শনিবারই কেন্দ্রের (Central Government) তরফে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে হাসপাতালের পরিকাঠামোর হিসাব নিতে বলা হয়েছে। হাসপাতালে অতিরিক্ত শয্যার (Additional Beds) পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোয় উন্নতি, মজুত অক্সিজেনের (Oxygen Stock) পরিমাণ কত রয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য জানতে ও সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ(Rajesh Bhushan) চিঠিতে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির প্রস্তুতি নিতেও বলেছেন।
দেশ তথা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব চিঠিতে লিখেছেন, “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জেরে গোটা বিশ্ব বর্তমানে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখছে। ভারতেও সংক্রমণ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। ৩১ ডিসেম্বরই দেশে ১৬ হাজার ৭৬৪ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, যা বিগত ৭০ দিনে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ইউরোপ ও আমেরিকার বহু উন্নত দেশেও বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভাইরাসের অধিক সংক্রমণের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।”