AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আল কায়দার বিশ্বব্যাপী জেহাদের তালিকায় কাশ্মীর! ISI-এর কলকাঠি দেখছে নয়া দিল্লি

পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর উস্কানিতেই আল কায়দার এই বিবৃতিতে রাশিয়ার চেচনিয়া এবং চিনের শিংজিয়াং প্রদেশের নাম সরিয়ে কাশ্মীরের নাম রাখা হয়।

আল কায়দার বিশ্বব্যাপী জেহাদের তালিকায় কাশ্মীর! ISI-এর কলকাঠি দেখছে নয়া দিল্লি
ছবি-PTI
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2021 | 8:39 PM
Share

নয়া দিল্লি: কাবুলে তালিবান দখল নিতেই কলকাঠি নাড়া শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সম্প্রতি মার্কিন সেনা আফগানিস্তানের মাটি ত্যাগ করার পরই জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। যেখানে তথাকথিত ইসলাম-ভূম মুক্ত করার জন্য বিশ্বব্যাপী জেহাদের আহ্বান জানানো হয়। আল কায়দার তালিকায় উল্লেখ পাওয়া ইসলামিক-ভূমির মধ্যে কাশ্মীরের নামও ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের এক শীর্ষ সূত্র জানাচ্ছে, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর উস্কানিতেই আল কায়দার এই বিবৃতিতে রাশিয়ার চেচনিয়া এবং চিনের শিংজিয়াং প্রদেশের নাম সরিয়ে কাশ্মীরের নাম রাখা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রের এক শীর্ষ সূত্র জানাচ্ছে, আল কায়দায় বিবৃতিতে কাশ্মীরের নাম অন্তর্ভুক্ত করা আসলে পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল, তালিবানে নয়। “আল কায়দার বিবৃতিতে বিশ্বব্যাপী জেহাদের উল্লেখ হওয়া উদ্বেগের বটেই। কাশ্মীর কখনই তালিবানের এজেন্ডায় না থাকলেও আল কায়দার বিবৃতিতে সেটার উল্লেখ পেয়েছে। এই নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের আইএসআই”, বলছে কেন্দ্রের সূত্র। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিবৃতি নিয়ে এখনও কাটাছেঁড়ার কাজ চলছে ঠিকই। কিন্তু এই বক্তব্য কিছুতেই নিশ্চিন্ত থাকতে দিচ্ছে না নয়া দিল্লিকে। সূত্র আরও জানিয়েছে, “আল কায়দা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মৌলবাদী বানানোর চেষ্টা করছে, যা মানবতার জন্য বিপজ্জনক। আর পাকিস্তান সেই এজেন্ডাকেই সমর্থন করছে।”

কেন্দ্রের বক্তব্য, যেহেতু তালিবানের সুপ্রিম লিডার হিবাতুল্লা আখুনজাদা আইএসআই-র হেফাজতে রয়েছেন, সেই কারণেই তালিবানকে প্রভাবিত করে নিজের মতো পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছে পাকিস্তান। যদিও তালিবানের দাবি, আখুনজাদা কান্দাহারে রয়েছেন এবং শীঘ্রই প্রকাশ্যে আসবেন।

আল কায়দার জেহাদের তালিকা থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া এবং চিনের শিংজিয়াং প্রদেশের নাম বাদ পড়ার ঘটনাকেও কৌতূহল বাড়িয়েছে। এই নামগুলি বাদ দিয়ে বিবৃতিতে উঠে এসেছে সোমালিয়া, ইয়েমেন ও কাশ্মীরের নাম। এই সব জায়গার মুসলিমরা বন্দি হয়ে রয়েছে, এবং ‘আল্লাহ যাদে তাদের মুক্তি দেন’ সেই মর্মে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস চালানোর একটি ব্লু-প্রিন্ট জারি করা হয়েছে আল কায়দার পক্ষ থেকে। তবে গোটা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে তালিবানের থেকেও পাকিস্তানের পরিকল্পনা নিয়োজিত হয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত ভারত।

যেহেতু তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা এবার অন্যভাবে শাসন চালাবে, তাই তারা প্রতিশ্রুতি কতটা রক্ষা করে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে নয়া দিল্লি। তালিবানও প্রত্যক্ষভাবে কখনই কাশ্মীর নিয়ে কোনও আগ্রহ দেখায়নি। এমনকী, কাবুলে দখল নেওয়ার পর এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তালিবান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ফলে এই দিক দিয়ে তালিবানের তরফে কিছুটা নিশ্চয়তা থাকলেও পাকিস্তান কী করবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। আপাতত এটুকুই স্পষ্ট যে, কাশ্মীরে নতুন করে সন্ত্রাসের বীজ বপণ করতে তলে তলে আল কায়দার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তারা। আরও পড়ুন: আসন্ন তৃতীয় ঢেউ! পুজোর সময় কী করবেন, পরামর্শ কেন্দ্রের