AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আসন্ন তৃতীয় ঢেউ! পুজোর সময় কী করবেন, পরামর্শ কেন্দ্রের

নীতি আয়োগ সদস্য ভিকে পাল বলেন, 'গত বছরের মতোই বিধি মেনে উৎসব পালন করতে হবে।'

আসন্ন তৃতীয় ঢেউ! পুজোর সময় কী করবেন, পরামর্শ কেন্দ্রের
ছবি - পিটিআই
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2021 | 5:57 PM
Share

নয়া দিল্লি: প্রতিদিনের পরিসংখ্যান বলছে, ভারত এখনও দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিপদ থেকে মুক্ত হয়নি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তৃতীয় ওয়েভের আশঙ্কা। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, উৎসবের মুখেই আছড়ে পড়তে পারে সেই তৃতীয় তরঙ্গ। তাই ইদ, গনেশ পুজো কিংবা দিওয়ালিতে কী ভাবে সতর্ক থাকতে হবে, সে ব্যাপারে বিশেষ বার্তা দিল কেন্দ্র। নীতি আয়োগের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাতে প্রত্যেকেই বাড়িতে উদযাপন করেন এই উৎসবগুলি। অযথা ভিড়া বা জমায়েতেও নিষেধ করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে।

বৃহস্পতিবার নীতি আয়োগের সদস্য তথা কোভিড সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভিকে পাল বলেন, ‘ইদ আসছে, গনেশ চতুর্থী আসছে। এবারও গত বছরের মতোই বিধি-নিষেধের মধ্যে উৎসব উদযাপন করতে হবে। আমাদের আর্জি, সবাই বাড়িতেই থাকুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ি থেকে বেরলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।’

একই ভাবে সতর্ক করেন ইন্ডিয়ান কাউনন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর-জেনারেল ড. বলরাম ভার্গব। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় তরঙ্গের মধ্যেই রয়েছি। গোটা দেশকে আমার আর্জি, যাতে প্রত্যেকে কোভিড-বিধি মেনে চলেন।

গত ২৪ ঘণ্টার যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৯২ জন। বিগত দু’মাসে এটিি সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। বেড়েছে মৃত্যু হারও, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫০৯ জনের। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৮৩।  একদিনেই দেশে সংক্রমণের হার ১২ শতাংশ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। একলাফে এ ভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে অবশ্য রয়েছে কেরল। দেশের মোট দৈনিক সংক্রমণের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ সংক্রমণই কেরল থেকে হচ্ছে। কেবলমাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৮০৩ জন। বর্তমানে রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের হার ১৮.৭৬ শতাংশ। ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।

কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের (NIDM) তরফ থেকে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অক্টোবরেই সম্ভবত চরম আকার ধারণ করতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। শিশুদের ক্ষেত্রে যে এই সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকবে, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে ওই রিপোর্টে। একসঙ্গে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা যায়. তার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও বলা হয়েছে যাতে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামোর দিকে নজর দেওয়া হয়। আরও পড়ুন: ‘মাস্ক কোথায়?’, বাইকের চাবি কাড়ল পুলিশ, ফেরত চাইতেই মাঝরাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার জওয়ানকে