‘মাস্ক কোথায়?’, বাইকের চাবি কাড়ল পুলিশ, ফেরত চাইতেই মাঝরাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার জওয়ানকে

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে,  পবন কুমার নামক ওই জওয়ান মাটিতে পড়ে রয়েছেন এবং তাঁকে চারদিক থেকে ঘিরে পুলিশকর্মীরা কখনও লাঠি দিয়ে, আবার কখনও কিল-চড় লাথি মারছে।

'মাস্ক কোথায়?', বাইকের চাবি কাড়ল পুলিশ, ফেরত চাইতেই মাঝরাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার জওয়ানকে
জওয়ানকে মারধরের দৃশ্য।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2021 | 8:17 AM

রাঁচী: মাস্ক না পরেই বাজারে চলে এসেছিলেন সেনা জওয়ান। পুলিশের চোখে পড়তেই কোনও কথা বা জরিমানা নয়, প্রথমেই কেড়ে নেওয়া হল বাইকের চাবি। প্রতিবাদ করতেই জুটল কিল, চড়, লাথি। মাস্ক না পরায় এক সেনা জওয়ানকে নির্মম মারধোরের এই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে, যে পুলিশকর্মীরা তাঁকে মারধর করছে, তাদের মধ্যেও বেশ কয়েকজনের মুখে মাস্ক নেই।

ঝাড়খণ্ডের ছতরা জেলার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নেটপাড়ায় শেরগোল পড়ে গিয়েছে। তিন পুলিশ কর্মী ও দুই অফিসারকেও সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিয়োটি নির্দিষ্ট কোন দিনের তা জানা না গেলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পবন কুমার যাদব নামক ওই জওয়ান ছাতরার আরা-ভুশাহি গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতিই তিনি কর্ম বাজার এলাকায় যান কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটার জন্য, কিন্তু বাড়ি থেকে মাস্ক পরে যেতে ভুলে যান।

ওই জায়গাতেই পুলিশের তরফে সচেতনতা শিবির চালানো হচ্ছিল এবং সকলকে মাস্ক পরতে বলা হচ্ছিল। বিনা মাস্কে ওই জওয়ানকে দেখতে পেয়েই আটকান পুলিশকর্মীরা এবং বাইক থেকে চাবি খুলে নেওয়া হয়। এরপরই পুলিশকর্মী ও সেনা জওয়ানের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। ওই জওয়ান বাইকের চাবি ফেরত চাইতেই তাকে আচমকাই মারতে শুরু করে পুলিশকর্মীরা। দেখাদেখি আরও কয়েকজন পুলিশকর্মী আসেন ও ওই জওয়ানকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে,  পবন কুমার নামক ওই জওয়ান মাটিতে পড়ে রয়েছেন এবং তাঁকে চারদিক থেকে ঘিরে পুলিশকর্মীরা কখনও লাঠি দিয়ে, আবার কখনও কিল-চড় লাথি মারছে। ওই জওয়ান বারবার ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও পুলিশকর্মীরা মারধোর করছেন, এমনটাই দেখতে পাওয়া যায়। এ দিকে, কেবলমাত্র মাস্ক না পরার কারণে যারা মারধর করছেন, সেই সমস্ত পুলিশকর্মীদের মধ্যেও অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই।

পরে গ্রামবাসীরা এসে কোনওমতে পবন কুমারকে উদ্ধার করে এবং ময়ূরহণ্ড পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই দুই অফিসার ও তিন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে বাকি অভিযুকক্তদেরও খোঁজ চালানো হচ্ছে।  ছাতরার পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি দ্রুত এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন।

স্থানীয় সাংসদ সুনীল কিমার সিংও পুলিশ সুপার রাকেশ রঞ্জনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। কেন আচমকা বেছে বেছে ওই জওয়ানকেই মারধর করা হল এবং এর পিছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা বা অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।  আরও পড়ুন: ভোটকুশলি নয়, এ বার ‘হাতে’ হাত মেলাবেন পিকে? সনিয়ার সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে সবাই