নয়া দিল্লি: ভারতের মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের শরীরে তৈরি হয়েছে করোনার অ্যান্টিবডি। কিন্তু এখনও দেশের অন্তত ৪০ কোটি মানুষ সংক্রমণের শিকার হতে পারেন। তাই টিকাকরণ সম্পূর্ণ করে তবেই পর্যটনে যাওয়া উচিৎ। দেশ জুড়ে আইসিএমআরের চতুর্থ সেরো সার্ভের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই সতর্ক করল কেন্দ্র। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৬ বছরের বেশি বয়সী ভারতীয়দের দুই তৃতীয়াংশে শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে। এই তথ্য খতিয়ে দেখে কেন্দ্রের দাবি, করোনার নতুন ঢেউ আঘাত হানতেই পারে যে কোনও সময়।
সমীক্ষায় ৬ বছরের বেশি বয়সি ৬৭.৬ শতাংশের শরীরে কোভিডের অ্যান্টিবডির পাওয়া গিয়েছে। জুন ও জুলাই মাসে এই সমীক্ষা চালানো হয়। দেশের মোট ২৮,৯৭৫ জনকে নিয়ে এই সমীক্ষা করেছে আইসিএমআর। এ ছাড়াও সমীক্ষার অংশ হিসেবে ছিল ৭,২৫২ জন স্বাস্ব্যকর্মী। ২১টি রাক্যের ৭০ টি জেলা জুড়ে সমীক্ষা চালানোর পরই এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
৬ থেকে ৯ বছর বয়সি ৫৭.২ শতাংশর ক্ষেত্রে, ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সূ ৬১.৬ শতাংশের ক্ষেত্রে, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ৬৬.৭ শতাংশের ক্ষেত্রে, ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৭৭.৬ শতাংশের ক্ষেত্রে ও ৬০ বছরের উর্ধ্বে ৭৬.৭ শতাংশের ক্ষেত্রে এই অ্যান্টিবডির উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্যই যে দ্বিতীয় ঢেউ এমন ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছিল, সেই তথ্যও উঠে এসেছে সমীক্ষায়।
এর আগে ২০২০-র ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে চালানো সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছিল ২৪.১ শতাংশের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গিয়েছিল। এ বারের সমীক্ষায় যদিও আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র, তবে ঝুঁকির কোনও জায়গা নেই বলেই জানানো হয়েছে। এক সাংবাদিক বৈঠকে আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গভ বলেন, ‘জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের শরীরে কোনও অ্যান্টিবডি নেই। তাই বলা যায় ৪০ কোটি মানুষ এখনও করোনার শিকার হতে পারেন।’ আরও পড়ুন:সাবওয়েতে ঢুকতেই ট্রেনে হুড়মুড়িয়ে ঢুকল জল, বুক সমান জলেই বন্দি শতাধিক, মৃত কমপক্ষে ১২