বিমানঘাঁটির কয়েকশো মিটারের মধ্যেই ফের ড্রোনের দেখা, এ বারও কি ছিল হামলার পরিকল্পনা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 21, 2021 | 11:11 AM

Drone Seen near Jammu Air Force Station: সেনা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর ৪টে ৫ মিনিট নাগাদ জম্মুর সাতওয়ারি এয়ারবেসের কাছে সন্দেহজনক ড্রোনটির দেখা মেলে।

বিমানঘাঁটির কয়েকশো মিটারের মধ্যেই ফের ড্রোনের দেখা, এ বারও কি ছিল হামলার পরিকল্পনা?
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

জম্মু: ফের ড্রোন(Drone)-র হানা। এ বার জম্মুর সাতওয়ারি(Satwari)-তে সেনাবাহিনীর যে বিমানঘাঁটি রয়েছে, তার আশেপাশে দেখা মিলল ড্রোনের। বুধবার ভোর ৪টে ৫ মিনিট নাগাদ ওই সন্দেহজনক ড্রোনটিকে এয়ার বেস থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরেই নজরদারি চালাতে দেখা যায়। পরে সেনাবাহিনীর নজরে আসতেই ড্রোনটি পালিয়ে যায়।

গত ২৭ জুনই দেশে প্রথম ড্রোন হামলা হয় জম্মু বিমানবন্দরের বায়ুসেনার ঘাঁটিতে। ড্রোনের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনায় আহত হন বায়ুসেনার দুই মার্শাল। এরপর থেকেই উপত্যকা জুড়ে শুরু হয়েছে ড্রোনের দৌরাত্ব্য। রত্নুচক, জম্মু, সাম্বা, শ্রীনগর সহ একাধিক জায়গায় বিগত একমাসে কমপক্ষে আটবার ড্রোনের দেখা মিলেছে। পাঁচদিন আগেই শেষবার জম্মু ও সাম্বায় চারটি ড্রোনের দেখা মেলে।

সেনা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর ৪টে ৫ মিনিট নাগাদ জম্মুর সাতওয়ারি এয়ারবেসের কাছে সন্দেহজনক ড্রোনটির দেখা মেলে। তবে গুলি চালানোর আগেই পালিয়ে যায় সেটি। ফের হামলা চালাতেই বিমানঘাঁটির উপর নজরদারি চালানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।

গত ২৭ জুনের হামলার ঘটনার দু’দিন পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন ড্রোনের কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে ঝুঁকির সৃষ্টি হচ্ছে, তা নিয়ে। ইতিমধ্যেই রাজৌরি, শ্রীনগর সহ একাধিক জায়গায় ড্রোন বিক্রি, রাখা ও ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাদের কাছে ড্রোন রয়েছে, তাদের দ্রুত স্থানীয় থানায় তা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানান, জঙ্গি সংগঠনগুলির হামলা চালানোর নয়া হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এই ড্রোন। গতমাসের ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের অস্ত্র তৈরির কারখানার যোগ মিলেছে বলেও জানা গিয়েছে। তিনি জানান, আগে সীমান্তের ও পার থেকে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ চালানোর জন্য টাকা, অস্ত্র পাঠানো হত ড্রোনের মাধ্যমে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালানোর জন্যই মূলত ড্রোনগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ধরা পড়ার ভয়ে রাতের অন্ধকারে বা ভোর রাত্রেই ড্রোন পাঠানো হচ্ছে। আরও পড়ুন: ১৮-এ পা দিতেই পাক জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানোর টোপ সোশ্যাল মিডিয়ায়, শেষ মুহূর্তে উদ্ধার ১৪ যুবক

Next Article