নয়া দিল্লি: বুধে যখন চাঁদে পা রাখল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) তখন ১৫ তম ব্রিকস সামিটে (BRICS summit) যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই দেশবাসীর জন্য ভিডিয়ো বার্তায় জানালেন শুভেচ্ছা। ভারতের পাশাপাশি ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ব্রাজিল, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চিনের রাষ্ট্রপ্রধানরা। এরইমধ্যে ভারতের চন্দ্র জয় গোটা বিশ্বের মধ্য়েই তুমুল আলোড়ন তৈরি করেছে। ভারতের সাফল্য নিয়ে গোটা বিশ্বেই চলছে জোরদার আলোচনা। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মোদী বলেন, “আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় আছি। কিন্তু, আমাদের সমস্ত দেশবাসীর মতো আমার মনও চন্দ্রযানের মহা অভিযানেই পড়ে ছিল। আমিও আমার দেশবাসীর সঙ্গে, আমার পরিবারের সঙ্গে এই আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছি।”
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গেই প্রায় একই সময়ে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-৩। কিন্তু, কয়েকদিন আগেই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে ভেঙে পড়ে রাশিয়ার স্বপ্ন। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় চন্দ্রযানটি। তারপর থেকেই গোটা বিশ্বের নজর ছিল ভারতের দিকে। প্রবল উৎকণ্ঠায় দিন কাটছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীদের। সবার চোখেমুখেই যেন কী হয় কী হয় ভাব। কিন্ত, বুধবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সময় ৬টা ৪ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযানের সফল অবতরণের পর তুমুল উচ্ছ্বাস গোটা দেশে। মোদী তো বলেই দিয়েছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর যে অংশে আজ পর্যন্ত কোনও দেশ পা রাখতে পারেনি সেখানেই চলে গিয়েছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই বলেছেন, আমরা পৃথিবীতে সংকল্প নিয়েছিলাম, চাঁদে পূর্ণ করেছি।
ভারতের সাফল্য উচ্ছ্বসিত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাও। অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতকে। বলেছেন, “ব্রিকস পরিবার হিসাবে এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমরাও আপনাদের সঙ্গেই আনন্দিত।” মোদী তো বলছেন, “আজকের পর থেকে চাঁদকে ঘিরে যে সমস্ত ধারণা রয়েছে, যে সমস্ত লোককথা রয়েছে সব বদলে যাবে। ভারতে সবাই পৃথিবীকে, ধরিত্রীকে মা বলে, চাঁদকে মামা বলে। কখনও বলা হত চাঁদ মামা অনেক দূরে থাকে (পড়ুন চাঁন্দা মামা বহত দূর কে হ্যায়)। এবার এমন একদিন আসবে যখন বাচ্চারা বলবে চাঁদ মামা আর দূরে নেই (পড়ুন চাঁদ মামা এক ট্যুর কে হ্যায়)।”