পঞ্জাব : ভোটের আগে অনেক চাপান-উতোর চলেছে পঞ্জাব কংগ্রেসে। অমরিন্দর সিং- এর পদত্যাগের পর মুখ্যমন্ত্রী হন চরনজিৎ সিং চন্নি। পরে সিধু নেতৃত্বে প্রচার চললেও ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছিল আম আদমি পার্টি। বুথ ফেরৎ সমীক্ষাতেই ইঙ্গিত মিলেছিল, তবে কংগ্রেস যে কার্যত লড়াইতেই আসতে পারবে না, তেমন প্রত্যাশা ছিল না হাত শিবিরের। কিন্তু বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই দেখা গেল, আপের সঙ্গে প্রতিযোগিতাতেই আসছে না কংগ্রেস। দুটি আসন থেকে লড়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী চন্নি। দুটিতেই পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। ভরাডুবির আশঙ্কা করেই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরিন্দর সিং ইস্তফা দেওয়ার পর চরণজিৎ সিং চন্নিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। দলিত বলেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। বিধানসভা নির্বাচনে শিখ ও দলিত ভোটের কথা ভেবেই তাঁকে জায়গা দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হয়। কিন্তু ফলাফলে তেমন কোনও প্রভাব পড়ল না। পঞ্জাবের মাজিথা অঞ্চলের চমকৌর সাহিবের পাশাপাশি ভাদাউর কেন্দ্র থেকেও টিকিট দেওয়া হয় চন্নিকে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন, তাঁদের অন্তর্বর্তী সমীক্ষায় উঠে এসেছে চমকৌর থেকে হারছেন চন্নি। পরে দ্বিতীয় কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীকে। দুটিতেই পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ করবেন চন্নি।
শুধু চন্নিই নয়, পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধুও পিছিয়ে রয়েছেন। প্রথম রাউন্ড গণনা থেকে দেখা যাচ্ছে ইস্ট অমৃতসর আসন থেকে পিছিয়ে রয়েছেন সিধু। এ দিকে, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আর এক হেভিওয়েট প্রার্থী অমরিন্দর সিং-ও পিছিয়ে রয়েছেন। কংগ্রেস ছাড়ার পর পঞ্জাব লোক কংগ্রেস তৈরি করেন তিনি। আর সেই দলের টিকিটেই লড়ছেন অমরিন্দর। তবে পঞ্জাবে খুশির হাওয়া শুধুই আপ শিবিরে। আপের ধারে-কাছএও নেই কংগ্রেস। অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। পঞ্জাবে যে আপ ক্ষমতায় আসতে চলেছে. তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দিল্লির আপ দফতরে শুরু হয়েছে বিজয় উৎসব।