Chennai Custodial Death: পুলিশের বিরুদ্ধেই খুনের মামলা, সিবিআই তদন্তের দাবি মানলেন না মুখ্যমন্ত্রী

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

May 07, 2022 | 4:36 PM

Chennai Custodial Death: চেন্নাইয়ে পুলিশি হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যুতে পুলিশেরল বিরুদ্ধেই দায়ের লহল খুনের মামলা। কে পলানিস্বামী সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও, মানলেন না মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন।

Chennai Custodial Death: পুলিশের বিরুদ্ধেই খুনের মামলা, সিবিআই তদন্তের দাবি মানলেন না মুখ্যমন্ত্রী
২৫ বছরের ভিগনেশকে পুলিশি হেফাজতে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে

Follow Us

চেন্নাই: পুলিশি হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল তামিলনাড়ু। মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে, কারাগারে ওই যুবককে যারপরনাই অত্যাচার করার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রথমে এই বিষয়ে একটি রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছিল। তবে, ময়নাতদন্তে মৃত যুবকের দেহে ১৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার পর, পুলিশের বিরুদ্ধেই খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার হতে পারে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন এই ঘটনার তদন্তের ভার দিয়েছেন সিআইডি-কে। তবে, বিরোধী নেতা এডাপাড্ডি কে পলানিস্বামী সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত গত এপ্রিল মাসে। ২৫ বছরের ভিগনেশকে, মাদক মামলায় এবং পুলিশকর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতারির পরদিনই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। পুলিশ দাবি করেছিল হেফাজতে থাকাকালীন ভিগনেশের খিঁচুনি শুরু হয়েছিল। তারপরই তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, তাঁকে বাঁচানো যায়নি। মানবাধিকার কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অবশ্য সম্পূর্ণ অন্যরকম। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার দিন রাত ১১টা থেকে ভোর সাড়ে ৩টে পর্যন্ত ভিগনেশকে পুলিশি হেফাজতে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে তাঁর মাথায়, চোখের উপরে, মুখে গভীর আঘাত ছিল। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি।

ঘটনার দিনের একটি ভিডিয়োও ফাঁস হয়েছে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই না করা গেলেও, দেখা গিয়েছে পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে ২৫ বছরের ওই যুবক হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন। এরপর এক পুলিশকর্মীকে তাঁকে ব্যাটন দিয়ে বেধড়ক পেটাতে দেখা যায়। পুলিশের দাবি, মাদক-সহ ধরা পড়েছিলেন ভিগনেশ। এরপর, পুলিশকে লক্ষ্য করে ছুরি নিক্ষেপ করে তিনি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল এক সাব-ইন্সপেক্টর, একজন কনস্টেবল এবং একজন হোমগার্ডকে। শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই পুলিশি হেফাজতে এই মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

শুক্রবারই, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে তামিলনাড়ু বিধানসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী নেতা কে পলানিস্বামী। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন বলেছেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিআইডিকে তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ তারপরও, সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে ওয়াকআউট করে বিরোধীরা। কে পলানিস্বামী বলেছেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধেই যেখানে খুনের অভিযোগ, সেখানে পুলিশ কীভাবে তদন্ত করতে পারে? শুধুমাত্র সিবিআই তদন্তেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি পরস্পরবিরোধী। এই ঘটনার জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।

Next Article