রায়পুর: ওষুধ কিনতে বেরনোয় চড় মেরেছিলেন জেলাশাসক, আছাড় দিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন মোবাইল ফোনও। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বরখাস্ত করা হয় জেলাশাসককে। ওই যুবককে নতুন ফোন কিনে দেওয়ার নির্দেশও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
লকডাউনের মাঝে বাড়ি থেকে বের হওয়ায় এক যুবককে সুরাজপুর জেলার কালেক্টর রণবীর শর্মা চড় মারেন এবং আছাড় দিয়ে তাঁর ফোন ভেঙে দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকি পুলিশকর্মীদেরও লাঠি দিয়ে মারার নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও পরে গোটা ঘটনার জন্য জেলাশাসক ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলেন, “কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত বা অসম্মান করার জন্য কিছু করিনি।”
গোটা ঘটনা জানতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ওই যুবককে একটি নতুন ফোন কিনে দিতে বলেন। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী দফতর থেকে একটি টুইট করে বলা হয়, “মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলজী সুরজপুরে যে যুবকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল, তাঁকে নতুন ফোন কিনে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।”
मुख्यमंत्री @bhupeshbaghel जी ने निर्देश दिए हैं कि सूरजपुर में कलेक्टर द्वारा नवयुवक के साथ दुर्व्यवहार के दौरान नवयुवक के क्षतिग्रस्त मोबाइल की प्रतिपूर्ति के रूप में उस नवयुवक को नया मोबाइल फोन उपलब्ध कराया जाए।
— CMO Chhattisgarh (@ChhattisgarhCMO) May 23, 2021
অন্যদিকে, ছত্তীসগঢ় আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে রবিবার গোটা ঘটনার সমালোচনা করে বলে হয়, “একজন আধিকারিকের কাছ থেকে এইধরনের ব্যবহার আশা করা যায় না। করোনার নিয়ম মানানো ভুল নয়, তবে তার জন্য এই ধরনের ব্যবহারকেও মেনে নেওয়া যায় না। ওনার উচিত নিজের টাকা থেকে ওই যুবককে ফোন কিনে দেওয়া”।
আরও পড়ুন: লকডাউনের মাঝে বদ্রীনাথ মন্দিরে হাজির মন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা, ক্ষুব্ধ একাধিক পুরোহিত