Chhota Rajan: ৩৮ বছরের পুরনো খুনের চেষ্টায় মামলায় বেকসুর খালাস ছোটা রাজন

Chhota Rajan: ৩৮ বছরের পুরনো খুনের চেষ্টার মামলা থেকে খালাস পেলেন রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজে ওরফে ছোটা রাজন (Chhota Rajan)।

Chhota Rajan: ৩৮ বছরের পুরনো খুনের চেষ্টায় মামলায় বেকসুর খালাস ছোটা রাজন
ছোটা রাজন। ফাইল চিত্র।

| Edited By: সৈকত দাস

Oct 29, 2021 | 10:58 AM

দেশ: ৩৮ বছরের পুরনো খুনের চেষ্টার মামলা থেকে খালাস পেলেন রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজে ওরফে ছোটা রাজন (Chhota Rajan)। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের বিরুদ্ধে একাধিরক পুরনো অপরাধের মামলার মধ্যে ছিল ২ পুলিশ কর্মীকে হত্যার চেষ্টা। সেই মামলায় মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস করল।

১৯৮৩ সালের এই মামলার মূল সাক্ষী সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। অন্যদিকে একাধিক তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। এমনকি যে অস্ত্রটি ছোটা রাজন ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে, সেটিও পাওয়া যায়নি। সিবিআই-র তরফে একটি ক্লোজার রিপোর্ট দেওয়া হয়। যদিও সিবিআই-র বিশেষ আদালত সেই ক্লোজার রিপোর্ট খারিজ করে জানায় ছোটা রাজনের বিরুদ্ধে এই মামলায় যৎসামান্য প্রমাণাদি আছে তা দিয়েই এই মামলা চালানো যায়।

মামলায় অভিযোগকারীর তরফে বক্তব্য ছিল, পুলিশি টহলের সময় মুম্বই পুলিশের অফিসার ও কর্মীরা একটি ট্যাক্সি লক্ষ্য করেন। যেখানে ছোটা রাজন এবং তার সহযোগী ছিলেন। পুলিশ বেশ কিছু সন্দেহে ওই গাড়িটিকে অনুসরণ করে।

গাড়ি থামাতে গেলেই ঘটে বিপত্তি। পুলিশ ওই গাড়ি ঘিরে ধরায় কোনও ভাবে সেখান থেকে পালাতে চায় ছোটা রাজন ও তাঁর সঙ্গী। এর পর শুরু হয় ধ্বস্তাধস্তি। অভিযোগ দুই পুলিশ কর্মীকে সেসময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টা করে ছোটা রাজন। তাঁর আক্রমণে গুরুতর আহত হন দুই পুলিশ কর্মী। এভাবে নিজে পুলিশের হাত থেকে পালালেও ছোটা রাজনের সঙ্গী দাদু-কে পাকড়াও করে পুলিশ। পরে তিনি-ও এই মামলায় ছাড়া পান।

সরকারি আইনজীবী প্রদীপ ঘারাত বলেন, বর্তমানে ছোটা রাজনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগের উপাদান পাওয়া গিয়েছে, তা মূলত সাক্ষীদের পাঁচটি বিবৃতির আকারে। ঘারাত এও জানান, এটি একটি স্বীকৃত সত্য যে রাজনকে সেদিন মুম্বই পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল। তবে অভিযোগ করা হয় সরকারপক্ষ ছোটা রাজনের বিরুদ্ধে মিথ্যাভাবে মামলা করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ছোটা রাজনকে ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রত্যর্পণের পরে সিবিআই মুম্বই পুলিশের কাছ থেকে বহু মামলা নিজেদের হাতে পায়। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি ছোটা রাজন। মুম্বাইয়ে ২০১১ সালে সাংবাদিককে হত্যার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি।

এর মধ্যে মাস কয়েক আগে আবার রটে গিয়েছিল করোনায় মৃত্যু হয়েছে ছোটা রাজনের। গত এপ্রিলে দিল্লির এইমসে (AIIMS)-এ ভর্তি ছিলেন রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজে ওরফে ছোটা রাজন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর একাধিক অঙ্গ কাজ করছে না আর। সেখান থেকে তার মৃত্যুর গুজব ছড়ায়। ২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় ছোটা রাজনকে। ডি-কোম্পানি-র হিট লিস্টে ছিলেন রাজন। একাধিকবার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ তথা অন্যতম সেনাপতি ছোটা শকিল। করাচি থেকে রাজনের নামে মৃত্যু পরোয়ানা-ও জারি করেছিলেন দাউদ।

আরও পড়ুন: RBI Governor: শক্তিকান্তের মেয়াদ বৃদ্ধি, আরও ৩ বছর তিনিই আরবিআই গভর্নর