দিল্লি তরজা: নির্বাচনী বিধির সংস্কারের আবেদন জানিয়ে আইনমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

জ্যোতির্ময় রায় | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Jun 08, 2021 | 11:00 PM

বিধিতে একগুচ্ছ বদল আনার প্রস্তাব দিয়েছেন কমিশনার।

দিল্লি তরজা: নির্বাচনী বিধির সংস্কারের আবেদন জানিয়ে আইনমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের
ফাইল ছবি

Follow Us

জ্যোতির্ময় রায় : মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র চিঠি লিখলেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। ওই চিঠিতে একাধিক নির্বাচনী সংস্কার সম্পর্কিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য দু’বছরের জেলের বিধান-সহ বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবগুলি দ্রুত খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমি এই প্রস্তাবগুলির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইনমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি এবং আশা করছি যে তারা আইন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এটিকে শীঘ্রই বিবেচনা করা হবে।’

কমিশনার প্রস্তাব দিয়েছেন যে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আওতায় ‘পেড নিউজ’ কে অপরাধ বলে গণ্য করা হোক এবং তার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হোক। তিনি আরও প্রস্তাব দিয়েছেন, নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার দিন থেকে ভোটদানের দিনের মধ্যে মাঝে সংবাদপত্রগুলিতে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হোক যাতে ভোটাররা প্রভাবিত না হতে পারেন এবং নিজের পছন্দমত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এর জন্য জনপ্রতিনিধি আইনের সংশোধন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই ৪৪ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন অর্ডার দিল কেন্দ্র

ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টা আগে প্রচার সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য গঠিত একটি কমিটি সুপারিশ করেছিল যে ভোটের দিন সংবাদপত্রগুলিতে বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হোক। বর্তমানে, সংবাদমাধ্যমে ভোট দেওয়ার ৪৮ ঘন্টা আগে প্রচার সংক্রান্ত খবর দেখানো নিষিদ্ধ করেছে। তবে কমিটি সুপারিশ করেছে যে সংবাদপত্রগুলিকেই এর নিয়মের আওতায় আনতে হবে।

এর সঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র বলেন, সংস্কারের আরেকটি প্রস্তাব হ’ল ভোটার তালিকার সঙ্গে আধার কার্ডকে জুড়ে দেওয়া। তিনি বলেন, এর ফলে ভোটার তালিকায় একাধিক স্থানে ভোটারের নাম নিষিদ্ধ করা সম্ভব হবে। আইনমন্ত্রী প্রসাদ সম্প্রতি লোকসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে বলেছিলেন যে কমিশনের প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন ছিল এবং এ জন্য নির্বাচনী আইন সংশোধন করতে হবে।

Next Article