নয়াদিল্লি: সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতির দাবিতে পিটিশনের শুনানি চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে চলছে শুনানি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করেছে। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়টি আইনসভার উপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবও রেখেছে। এই শুনানি চলার সময় একাধিক বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন বিচারপতিরা। ব্রিটিশ ভিক্টোরিয়ান নৈতিকতা এবং ভারতীয় সংস্কৃতির ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেছেন, “ভারতের সংস্কৃতির অসাধারণ গ্রহণক্ষমতা রয়েছে।” যদিও ব্রিটিশ ভিক্টোরিয়ার নীতির বোঝা আমাদের উপর চেপে রয়েছে। সে জন্যই সমকামী মানুষদের প্রতি আমাদের এই মনোভাব। আদালতে সমলিঙ্গ বিবাহের সওয়াল জবাবের সময় কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারাল তুষার মেহতা দাবি করেন, ভারতে সমলিঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে আন্দোলনের শুরু ২০০২ সালে। এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেই ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে ওই কথা বলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি।
পিটিশনারদের আইনজীবীর সওয়ালের পর সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতির দাবিতে দায়ের হওয়া মামলায় কেন্দ্রের বক্তব্য তুলে ধরেন সলিসিটর জেনারাল। তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সমলিঙ্গের প্রতিনিধিত্ব ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ ছিল বলেই জানান প্রধান বিচারপতি। ভারতীয় সংস্কৃতির ‘অসাধারণ গ্রহণক্ষমতা’ সম্পর্কেও অবহিত করেন তিনি। এর পরই জানান, ব্রিটিশদের দ্বারা যে ভিক্টোরিয়ান নীতি আমাদের সংস্কৃতিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং সমকামকে অপরাধের তালিকায় যোগ করেছে।
এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, “আপনি প্রাচীন ভারতের মন্দিরে যান, সেখানকার স্থাপত্যে দেখুন। কখনও তো আপনি বলেন না এটা অশ্লীল। এটা আমাদের সংস্কৃতির গভীরতা তুলে ধরে। কিন্তু ১৯৫৭ সাল ও তার পরবর্তী আমরা যে ভারতীয় দণ্ডবিধি পেয়েছি তাতে ব্রিটিশ ভিক্টোরিয়ান নীতিবোধ চেপে গিয়েছে আমাদের সংস্কৃতিতে। যা একটি সম্পূর্ণ অন্য সংস্কৃতি। আমাদের সংস্কৃতির অসাধারণ গ্রহণক্ষমতা। এটাই সম্ভবত অন্যতম কারণ বিদেশি আক্রমণ সত্ত্বেও আমাদের ধর্মকে টলিয়ে দিতে পারেনি।”