শুধু মাথাটা পড়ে আছে, বাকিটা পেটে… সিঙারা খেয়েই জীবন-মরণের লড়াই করছে শিশু, কী ছিল ভিতরে?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Nov 10, 2024 | 7:43 AM

Food Safety: রাস্তার ধারে চলত সুরেশ হোটেল। সকাল-সন্ধ্যা  সেখানে খাবার খেতে মানুষের ভিড় লেগেই থাকত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটির জন্য ওই দোকান থেকে সিঙারা কেনা হয়। শিশুটি যখন খাচ্ছিল, তখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন যে সিঙারার মধ্যে কিছু একটা দেখা যাচ্ছে।

শুধু মাথাটা পড়ে আছে, বাকিটা পেটে... সিঙারা খেয়েই জীবন-মরণের লড়াই করছে শিশু, কী ছিল ভিতরে?
দেখুন সিঙারার ভিতরে কী ছিল।
Image Credit source: X

Follow Us

ভোপাল: রাস্তায় বেরিয়েই জেদ ধরেছিল সিঙারা খাবে। খুদে সদস্যের কথা ফেলতে পারেনি পরিবারও। বায়না শুনেই রাস্তার ধারের দোকান থেকে কিনে দিয়েছিলেন একটা সিঙারা। কিন্তু সেই সিঙারা খেয়েই ভয়ঙ্কর পরিণতি হল শিশুর। নিমেষেই হাসপাতালে নিয়ে ছুটতে হল তাঁকে। এখন জীবন-মরণের টানাটানি চলছে শিশুটির। কী এমন ছিল ওই সিঙারার ভিতরে, যার কারণে এই অবস্থা হল শিশুর?

অভিযোগ, সিঙারার পুরের ভিতরে ছিল আস্ত একটি টিকটিকি। শিশুটি খাওয়ার সময় কিছুই বুঝতে পারেনি। যতক্ষণে তার পরিবারের লোকজন দেখতে পায়, তখন শুধু সিঙারার আলুর মধ্যে টিকটিকির মাথাটুকুই রয়ে গিয়েছে, বাকি পুরোটা অংশ শিশুটির পেটে চলে যায়। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। শুরু হয় বমি, পেট ব্যথা। অবস্থার অবনতি হলে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের রেওয়া জেলায়। বৃহস্পতিবার রাতে টিকটিকি সুদ্ধ সিঙারা খেয়ে এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ পেয়েই অ্যাকশনে নামে খাদ্য অধিদপ্তর। ওই দোকানে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে দেখা যায়, অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বানানো হয়। এরপরই খাদ্য দফতরের টিম ওই হোটেল অপারেটরের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়।

জানা গিয়েছে, রেওয়ার সিভিল লাইন থানা এলাকার পাদরায় রাস্তার ধারে চলত সুরেশ হোটেল। সকাল-সন্ধ্যা  সেখানে খাবার খেতে মানুষের ভিড় লেগেই থাকত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটির জন্য ওই দোকান থেকে সিঙারা কেনা হয়। শিশুটি যখন খাচ্ছিল, তখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন যে সিঙারার মধ্যে একটি টিকটিকির মাথা দেখা যাচ্ছে। বাকি সিঙারাটি ততক্ষণে খেয়ে ফেলেছে শিশুটি। এরপরই তাঁকে দ্রুত সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরিবারের সদস্যরা হোটেল মালিককেও সিঙারায় টিকটিকি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিল, কিন্তু দোকানদার তা উপেক্ষা করেই খাবার বিক্রি করতে থাকে। পরে খাদ্য দফতরে অভিযোগও করা হলে, দোকানে অভিযান চালানো হয় এবং হোটেল অপারেটরের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। পুলিশেও দোকানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Next Article