নয়া দিল্লি: লাদাখ সংঘর্ষের পর থেকেই উত্তপ্ত ভারত-চিন সীমান্ত। একাধিক উচ্চ সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের পরও সম্পূর্ণ সেনা সরায়নি কোনও দেশই। এর মধ্যেই আধিকারিকরা জানালেন, শুক্রবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) ভারতীয় দিকে ঢুকে এসেছে চিনের পিওপল লিবারেশন আর্মির এক সেনা। তাঁকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে ভারত। তিনি এখন ভারতীয় সেনার হেফাজতে রয়েছেন।
কোন পরিস্থিতিতে ওই সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতীয় দিকে ঢুকেছে, সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৮ জানুয়ারি সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতীয় দিক থেকে ওই চিনের সেনাকে আটক করা হয়েছে। দক্ষিণ প্যাংগং হ্রদ অঞ্চল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে আসে লাল ফৌজের ওই সেনা।
গালোয়ান উপত্যকায় রক্তরক্ষী সংঘর্ষের রেশ এখনও কাটেনি। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে প্রাণ হারাতে হয়েছিল দুই দেশের জওয়ানদের। তারপর একাধিকবার উচ্চ সামরিক পর্যায়ের বৈঠকে সেনা সরানোর কথা হলেও তীব্র শীতেও সেনা সরায়নি কোনও পক্ষ।
মুখে সমঝোতার কথা বললেও আগ্রাসন থামায়নি ড্রাগন। লাদাখ সীমান্তে তো সেনা মোতায়েন রয়েছেই, পাশাপাশি ভারত মহাসাগরেও একাধিক আন্ডারওয়াটার ড্রোন পাঠিয়েছে চিন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ হাই সুট্টনের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে ফোর্বস ম্যাগাজিনে। সেখানে সুট্টন জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরে ১২ টি আন্ডারওয়াটার আনক্রুড ড্রোন পাঠিয়েছে বেজিং।
আরও পড়ুন: “মেড-ইন-ইন্ডিয়া প্রতিষেধক মনুষ্যত্ব বাঁচাবে”, ফের আত্মনির্ভরতার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
চিনা ভাষায় একে হাইয়ি বলা হয়। গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর জন্যই এই কৌশল নিয়েছে ড্রাগনের দেশ। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত মহাসাগরে পৌঁছেছে এই ড্রোনগুলি। যা ইতিমধ্যে ৩ হাজারেরও বেশি সংখ্যক বার গোপন তথ্য পাঠিয়েছে চিনকে।