নয়াদিল্লি: অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগ চিনের বিরুদ্ধে প্রায়শই উঠে থাকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগেও সেই প্রচেষ্টা জারি রেখেছে চিন। সম্প্রতি এমনই উঠে এসেছে লন্ডনের সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগের (আইএসডি) সাম্প্রতিক রিপোর্টে। সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে এই দুই নির্বাচনে প্রভাব ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। সোশ্যাল মিডিয়াকে এই কাজে ব্যবহার করছে। যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে তা করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের কমিউনিস্ট পার্টি পার্টির সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মত আইএসডি-র গবেষকদের। সেগুলিকে স্প্যামোফ্লেজ বলে চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা।
আইএসডি-র রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) ব্যবহার করে অনলাইনে ক্যাম্পেন চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের (স্প্যামোফ্লেজ) মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলক প্রচার চলছে। যেমন আমেরিকার ক্ষেত্রে সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যাকে তুলে ধরা হচ্ছে। তা নিয়ে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। যেমন, মাদকের ব্যবহার, গৃহহীনতা, বন্দুকবাজ হামলার মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেগেটিভ প্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। জো বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাবমূর্তি এবং ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে সেই সব ক্যাম্পেনের মাধ্যমে।
আমেরিকার রাজনীতির পাশাপাশি ওই ধরনের অ্যাকাউন্ট (স্প্যামোফ্লেজ) থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক পোস্টও হয়েছে বলে উঠেছে এসেছে ওই রিপোর্টে। ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন বিষয়, অগ্নিবীর সংক্রান্ত বিক্ষোভ, জি২০-র ব্যর্থতা দেখানোর পোস্ট করা হয়েছে। একটা জিনিস রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে, দুই দেশের ক্ষেত্রেও ভাবমূর্তিতে কালি লাগানোর মতো ক্যাম্পেন চালানো হচ্ছে স্প্যামোফ্লেজের মাধ্যমে।
এই ধরনের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ক্যাম্পেন রোখার চেষ্টাও করছে মেটা। ২০২৩ সালেই ৭,৭০৪ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ডের কথা জানিয়েছে মেটা। ৯৫টি পেজ, ১৫টি গ্রুপ, ১৫ ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও বন্ধ করা হয়েছে। এ সবের পিছনেই চিনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ।