উত্তরাখন্ড: পিপলস্ লিবারেশ আর্মির (Peoples Liberation Army) ১০০ জনের একটি দল বেআইনিভাবে ঢুকে পড়েছিল ভারতীয় ভূখণ্ডে। গত ৩০ অগস্ট উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বারাহতিতে চিনা সেনার একটি দল ঘোড়ায় চেপে আসে এবং সেখানে তিন ঘন্টা ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, চিনা সেনা (Chinese Army) একটি ফুট ব্রিজ ধ্বংস করেছে। তবে, ভারতীয় সেনার (Indian Army) সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়নি। ভারতীয় সেনা ও আইটিবিপি (ITBP) জওয়ানদের সেখানে পৌঁছনোর আগেই গা ঢাকা দেয় চিনা বাহিনী। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami) জানিয়েছেন, সরকারের কাছে এই ধরনের কোনও তথ্য নেই।
এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই লাদাখের (Ladakh) সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন। পূর্ব লাদাখের প্রায় ১৭ মাস ধরে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা চলেছে। ডোকালাম সীমান্তে বেশ কয়েকবার পিপলস্ লিবারেশ আর্মির মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। সেনা বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ ও চিনা সেনার ওপর ক্রমাগত নজরদারি থেকে ভারতীয় সেনা জানতে পেরেছে, লাদাখের পূর্বে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে আরও আটটি জায়গায় “নিউ মডুলার কন্টেনার বেসড অ্যাকোমোডেশন” (New Moduler Container based accomodation) তৈরি করেছে চিনা সেনা।
লাদাখের পূর্বে সীমান্তে দুদেশের তরফে ট্যাঙ্ক, মিসাইল সহ ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা বৃদ্ধির সময় থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রতিবেশী দুই দেশেই। এই উত্তেজনার মধ্যে উচ্চতর ভূখণ্ডে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে নিয়মিত পালা করে দুই দেশের জওয়ানরা নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এছাড়াও পরস্পরের প্রতি নজর রাখার জন্য যুদ্ধ বিমান ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
গত বছরের মে মাস থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে এই উত্তেজনা চলছে। বেশ কয়েকবার দুই দেশের জওয়ানরা মুখোমুখি হয়েছেন। প্যাংগং লেকের (Pangong lake) কাছে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের পক্ষ থেকে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসস্ত্র সহ প্রায় ১০ হাজার সেনা সবসময় সজাগ রয়েছেন।
উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই বেশ কয়েকবার দুই দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে আলাপ আলোচনা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে দুই দেশই প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। গত মাসে গোগরা এলাকায় একই ধরনের চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছিল। এবার উত্তরাখন্ডে চিনা সেনার এই অযাচিত অনুপ্রবেশের ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা উত্তেজনা পুনরায় বাড়তে পারে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন Digha: ঝিরঝিরে বৃষ্টি! পরিস্থিতি নজরে দিঘার বিভিন্ন এলাকায় টহল এনডিআরএফের
আরও পড়ুন Dumplings: ভিন্ন দেশে নানান স্বাদে পাওয়া যায় ডাম্পলিং, দেখুন ছবিতে!