নয়া দিল্লি: ঘরে-বাইরে বিপদ! একদিকে যোশীমঠ ডুবছে। ঘটনাটি নিয়ে উদ্বিগ্ন উত্তরাখণ্ড সরকার সহ গোটা দেশ। শিবিরে ফাটলের জেরে LAC থেকে বাহিনী সরানো হচ্ছে। আর এই সুযোগে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিন। ফের LAC-তে চিনা সেনার সংখ্যা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে।
এদিন দিল্লিতে বার্ষিক সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিক বৈঠক করে জেনারেল মনোজ পাণ্ড বলেন, “আমাদের ইস্টার্ন কম্যান্ডের উল্টোদিকে চিনা সেনার সংখ্যা সামান্য বেড়েছে। তাদের গতিবিধির উপর আমরা বিশেষ নজর রাখছি।” চিন সংলগ্ন উত্তর সীমান্তে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তবে এখনও এই বিষয়ে কিছু বলা যায় না, পুরো বিষয়টি ‘অনিশ্চিত’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেনা প্রধান। তবে বিষয়টি নিয়ে দু-পক্ষের সশস্ত্র বাহিনী বৈঠকে বসছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে LAC-তে লালফৌজের আগ্রাসনের স্মৃতি এখনও ম্লান হয়নি। কয়েক মাস আগে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তেও চিনা বাহিনী অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। এর মধ্যে ফের LAC-তে লালফৌজের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশেষত, যখন জোশীমঠ বিপর্যয় নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার, চিন সংলগ্ন উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী সেনা শিবিরেও ফাটল দেখা দিয়েছে এবং অস্থায়ীভাবে LAC থেকে সেনা সরানো শুরু হয়েছে, সেই সময় নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে লালফৌজ।
কেবল চিন নয়, পাক-সীমান্তবর্তী এলাকা এবং জম্মু-কাশ্মীর নিয়েও উদ্বিগ্ন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। পাকিস্তান যেভাবে ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে এবং জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন জানায়, সে ব্যাপারে ‘সতর্ক থাকা’ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। তবে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে।