১৯৪৯ সালের জুলাই মাস। সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। এমন সময় তাঁর কার্যালয়ে এসেছিলেন হিমাংশু নিয়োগি নামে কলকাতার এক রফতানিকারক। তাঁর সঙ্গে ছিল একটি থলি। সেই থলিতে ছিল জাপানি শিশুদের লেখা ৮১৫টি চিঠি। নেহরুর কার্যালয়ে আসার কয়েকদিন আগে, ব্যবসার কাজে জাপানে গিয়েছিলেন হিমাংশু। সেই সময় টোকিয়োর বেশ কিছু স্কুল পরিদর্শন করেছিলেন তিনি। তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিল শিশুরা। তাঁর সঙ্গে গ্রুপ ফোটো তুলেছিল। আর হিমাংশু যখন ভারতে ফেরার তোড়জোড় করছেন, তখন তাঁর হাতে জাপানি স্কুলশিশুরা ধরিয়ে দিয়েছিল ওই চিঠির থলি। সেই চিঠির গোছা পেয়ে খুবই খুশি হয়েছিলেন পণ্ডিত নেহরু। কিন্তু অবাক হয়েছিলেন সেই চিঠিগুলির মাধ্যমে পাঠানো অনুরোধ পেয়ে। টোকিয়োর চিড়িয়াখানার জন্য একটি ভারতীয় হাতি পাঠানোর অনুরোধ করেছিল ওই জাপানি শিশুরা। সুমিকো কানাতসু নামে, নেগিশি প্রাইমারি স্কুলের এক ছাত্রী ইংরেজিতে লিখেছিল, “টোকিয়োর চিড়িয়াখানায় আমরা কেবল শূকর এবং পাখি দেখতে পাই। তা নিয়ে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। জাপানি শিশুরা দীর্ঘদিন ধরে একটি বড় আকারের...