দেশ: করোনায় নয়া স্ট্রেইন ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সারা বিশ্বে। এই প্রেক্ষিতে এদিন লোকসভার আলোচনায় উঠল করোনাভাইরাস এবং নয়া স্ট্রেইন ওমিক্রন নিয়ে আলোচনা। কেন্দ্রের তরফে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানালেন, সরকার স্বাস্থ্যক্ষেত্রের গুরুত্ব দিতে হবে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে। তাই সরকার সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে মোট ১১ টি দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রেও ধীরে চলো নীতি নিলেন তাঁরা, জানালেন সিন্ধিয়া।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় তিনি বলেন, “গত ছয় মাস ধরে আন্তর্জাতিক ভাবেও ধীরে ধীরে বিমান চলাচল বাড়ানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা জারি রয়েছে। কিন্তু ওমিক্রন একটা বড় ধাক্কা। এখন বিশ্বের সমস্ত দেশকে নিরাপদ থাকা দরকার। আমাদের সরকার ১১টি দেশকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
অর্থাৎ, ভারতে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে আবারও প্রতীক্ষা করতে হবে। কারণ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এদিন লোকসভায় পরিষ্কার করে দেন কেন্দ্রীয় সরকার করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে সজাগ রয়েছে। এবং এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক যাত্রী বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার জন্য সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করছেন তাঁরা।
ওয়াইএসআরসিপি সাংসদ কোটাগিরি শ্রীধরের এক প্রশ্নের উত্তরে সিন্ধিয়া জানান, করোনায় নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে সারা বিশ্ব সাবধানী হয়েছে এবং ভারতও তার অন্যথা নয়। এ নিয়ে সরকারের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। মন্ত্রী যোগ করেন, বন্দে ভারত প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত বিদেশ থেকে এক কোটি ৮৩ লক্ষ মানুষ বাড়ি ফিরতে সক্ষম হয়েছেন। ধীরে ধীরে বিমান পরিষেবা সচল করার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
তাছাড়া অসামরিক বিমান বিমান পরিবহণ মন্ত্রী আরও যোগ করেন, ভারতের সঙ্গে ৩১ টি দেশের এয়ার-বাবল এগ্রিমেন্ট হয়েছে। আরও ১০ দেশের সঙ্গে এই চুক্তি করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির ভ্রমণকারীদের জন্য ভারত সংশোধিত নির্দেশিকা (কোভিড) কঠোরভাবে প্রয়োগ করছে। এই দেশগুলি হল দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, চিন, হংকং, ব্রাজিল, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জিম্বাবুয়ে, ইজরায়েল এবং আমেরিকা সহ সমস্ত ইউরোপীয় দেশ।” তিনি তথ্য দিয়ে জানান, “গতকাল (বুধবার) ২৬টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে আসা প্রায় ৫,৫০০ যাত্রীর কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে”।
তবে তিনি এও যোগ করেন, “উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রতিটি দেশ তার জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। তবে, এটা বলাও কঠিন যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা এই অতিমারির মধ্যে সমস্ত দেশের জন্যই অভিন্ন ভাবে নিয়ম নিয়ে আসবে।”
আরও পড়ুন: Omicron: আলোচনায় ওমিক্রন! লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের
আরও পড়ুন: GST: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জিএসটি আদায় করল কেন্দ্র