নয়া দিল্লি: কাজের চাপ হোক বা অন্য কোনও মানসিক চাপ কমানোর অব্যর্থ ওষুধ হল যোগা। একথা অনেকের মুখেই শোনা যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শরীর ও মন সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে যোগা করার পরামর্শ দেন। এবার দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের মুখেও শোনা গেল সেই একই কথা। সারাদিনের জীবনযাত্রার অভ্যাস তুলে ধরলেন তিনি। কোভিডকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর ফোনে এক বার্তালাপের কথাও শেয়ার করলেন চন্দ্রচূড়।
বৃহস্পতিবার আয়ুশ (AYUSH) হলিস্টিক ওয়েলনেস সেন্টারের উদ্বোধন করেন CJI ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই আয়ূশ কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে গিয়েই নিজের জীবনযাপনের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রত্যেক দিনের রুটিনে যোগা জরুরি জানিয়ে সিজেআই বলেন, “আমি যোগা প্র্যাক্টিস করি। যোগা করতে ভোর সাড়ে ৩টেয় উঠি। গত ৫ মাস ধরে আমি ভেগান ডায়েট (দুগ্ধজাতীয় দ্রব্য বাদে নিরামিষ খাবার) মেনে চলছি। আমি সম্পূর্ণভাবে একটি নিরামিষ ডায়েট অনুসরণ করেছি এবং আমি এটি চালিয়ে যাব। আমি জীবনের সামগ্রিক জীবনশৈলীর দিকে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করছি, যেটা আপনি যা খান তা থেকে শুরু হয়।”
যোগাভ্যাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটি কথোপকথনের কথাও তুলে ধরেন। কোভিড মহামারীর সময়ে তিনি যখন আক্রান্ত হয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং তাঁকে ফোন করে আশ্বাস দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমার মনে হয় আপনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এবং আমি আশা করি সবকিছু ঠিক আছে। আমি বুঝতে পারছি যে আপনি ভাল অবস্থায় নেই তবে আমরা সবকিছু করব। একজন বৈদ্য আছেন যিনি আয়ুশের সেক্রেটারিও এবং আমি তার সঙ্গে একটি ফোনের ব্যবস্থা করব যিনি আপনাকে ওষুধ এবং সমস্ত কিছু পাঠাবেন।” সিজেআই চন্দ্রচূড় তিনবার কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, কিন্তু অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ নেননি বলেও জানান।
কাজের চাপ সামলে শরীর ও মন সুস্থ রাখতে যোগার অভ্যাস জরুরি বলেও উল্লেখ করেন সিজেআই। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, কেবল বিচারক ও তাঁদের পরিবার নয়, আদালতের সমস্ত কর্মীদেরও জীবনশৈলী মেনে চলা উচিত। তাঁদের মাধ্যমে আমরা গোটা দেশে বার্তা দিতে পারি।”