নয়া দিল্লি: স্ত্রী পায়েল আবদুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কটা ভাল যাচ্ছে না। বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগে নিম্ন আদালতেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়েছিল। তারপরেই দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের। কিন্তু, নিম্ন আদালতের সেই রায়ই বহাল রাখল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা এবং বিচারপতি বিকাশ মহাজনের বেঞ্চ।
স্ত্রীর বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন ওমর। কিন্তু, সেই অভিযোগের কোনও সারবত্তা খুঁজে পায়নি নিম্ন আদালত। এদিন নতুন পর্যবেক্ষণে নিম্ন আদালতের কথাকেই মান্যতা দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা এবং বিচারপতি বিকাশ মহাজনের স্পষ্ট বক্তব্য, নিম্ন আদালতের তরফে যে রায় দেওয়া হয়েছিল তাতে কোনও ভুলই নেই। একইসঙ্গে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার যে অভিযোগ ওমর তুলেছিলেন তা ভিত্তিহীন বলে মনে করছেন তাঁরা। আদালতের দাবি, এই অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ কোনও প্রমাণই দিতে পারেননি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন প্রশাসনিক প্রধান।
১৯৯৪ সালে পায়েলের সঙ্গে বিয়ে হয় ওমরের। বিয়ের পর প্রায় ১৫ বছর তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে। ২০০৯ সাল থেকে তাঁরা আলাদাও থাকছেন বলে খবর। তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে। এদিকে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করার সময় ওমর সাফ লিখেছিলেন, তাঁদের বিয়ে ভেঙে গিয়েছে। যে সম্পর্ক জোড়া লাগার আর কোনও সম্ভাবনাই নেই। এখন দিল্লি আদালতের রায়ের পর জল কোনদিকে গড়ায় এখন সেটাই দেখার।