ঝাঁসি: গুটখা খাওয়ার বদঅভ্যাস ছিল মেয়েটির। তবে তা জানাজানি হতেই ঘটল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। স্কুলের শিক্ষক তাকে ধরে ফেলে গুটখা খাওয়ার সময়। আর তারপরই সোজা গার্জেন কল। বাবাকে ডেকে মেয়ের বদ অভ্যাসের কথা জানাতেই ঘরে ঢুকে আত্মহত্যা করল সে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ঝাঁসির মাহবা জেলায়। মৃতের নাম অঞ্জলি সাউ। জানা গিয়েছে, সে ব্রদী সিং কন্যা ইন্টার কলেজে একাদাশ শ্রেণিতে পড়ত। অভিযোগ, অঞ্জলি গুটখা খেত প্রচুর। গত বুধবার তার স্কুলের শিক্ষক কয়েকটি গুটখার প্যাকেট পায় তার ব্যাগে। এরপরই ডেকে পাঠানো হয় তার বাবা প্রতাপ সিংকে। জানা গিয়েছে, অঞ্জলির বাবা স্কুলে এলে শিক্ষকরা তাঁকে জানায়, যদি তাঁর মেয়ে এই বদ অভ্যাস না ছাড়ে তাহলে তাকে বের করে দেওয়া হবে স্কুল থেকে।
এরপরই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন প্রতাপ সিং। বাড়িতে ফিরেই কিশোরী ছুটে চলে যায় তার ঘরে। দরজা বন্ধ করে দেয়। তবে কয়েক ঘণ্টা কাটার পরও না ফেরায় সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। তারা দরজায় কড়া নাড়েন। তখনও দরজা না খোলায় তা ভেহে ভিতরে ঢোকেন। তখন দেখেন ঘরের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে অঞ্জলি। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে তাকে। গোটা ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে মৃতের পরিবার।
এই ঘটনায় অঞ্জলির বাবা প্রতাপ সিং বলেন, “আমার সামনেই ওরা অঞ্জলির ব্যাগ খোলেন। ব্যাগ থেকে বেশ কয়েকটি গুটখার প্যাকেট পাওয়া যায়। আমি এই ঘটনার পর্যাপ্ত তদন্ত চাইছি।”