হায়দরাবাদ: স্কুলেও সুরক্ষিত নয় শিশুরা। এবার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠল স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই শিক্ষককে শাস্তি দেওয়া তো দূর, বরং ধামাচাপা দিতেই উঠেপড়ে লাগলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল। শেষে নিগৃহীত নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক, প্রিন্সিপাল ও একজন প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার কামারেড্ডি জেলায়। সেখানে একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিগ্রহ করেন শিক্ষক। ক্লাসরুমের ভিতরে তাঁকে আটকে রেখে কু-কাজ করেন। গোপনাঙ্গে স্পর্শ করেন। নাবালিকাকে নানা অশালীন কথাও বলেন শিক্ষক। ভয় দেখিয়েছিলেন, বাড়ির কেউ যেন এই বিষয়ে জানতে না পারে।
স্কুলে শিক্ষকের হাতেই যৌন নিগ্রহের শিকার হয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নাবালিকা। স্কুলে যেতেই চায় না আর। পরে বাড়ির লোকজন জোরাজুরি করলে গোটা ঘটনা খুলে বলে নাবালিকা।
অভিভাবকরা স্কুলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলে, প্রিন্সিপাল উল্টে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই জোর দিতে থাকেন। একজন প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিকেও ডেকে আনেন অভিযুক্ত শিক্ষক ও নিগৃহীত নাবালিকার পরিবারের মাঝে মধ্যস্থতা করার জন্য।
তবে চুপ থাকেনি নাবালিকার পরিবার। তারা পুলিশে গিয়ে পকসো আইনের অধীনে অভিযুক্ত শিক্ষক, প্রিন্সিপাল ও প্রাক্তন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। এরপরই পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।