নয়াদিল্লি: পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। অচৈতন্য করে ওই ছাত্রীকে স্কুলে থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে যৌন অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই স্কুলের পিওনকে। দিল্লি পুরনিগম পরিচালিত স্কুলের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজধানীর অন্দরে। ঘটনার বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাসি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনা নিয়ে সরব দিল্লির মহিলা কমিশন। কমিশনের তরফে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্কুলের পিওনই গণধর্ষণে প্রধান অভিযুক্ত। ৫৪ বছরের ওই ব্যক্তি উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ মার্চ। কিন্তু ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্কুলে আসা বন্ধ করার পাশাপাশি বার্ষিক পরীক্ষাতেও বসেনি ওই নাবালিকা। পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত পিওন ওই ছাত্রীকে স্কুল থেকে অজানা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে তাঁকে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে অচৈতন্য করে দেওয়া হয়। এর পর অভিযুক্ত পিওন ও তাঁর তিন সঙ্গী মিলে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরের দিন থেকে স্কুলে আসেনি ওই ছাত্রী। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও শুরু হয়েছিল। সে সময় স্কুলের শিক্ষকরা নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন ছাত্রীর দাদা শিক্ষকদের এই ঘটনার কথা জানান। এর পরই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ অন্য শিক্ষকরা অভিযোগ জানান পুলিশে। পরে নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে। সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। এবং নির্যাতিতার বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ঘটনা নিয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ (অপহরণ), ৩২৮ (বিষাক্ত দ্রব্য খাওয়ানো), ৩৭৬ডি (গণধর্ষণ) ধারা এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত পিওনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে দিল্লির মহিলা কমিশন বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে পুলিশের কাছে।