School Student’s Letter: ক্লাসের দেওয়াল থেকে সরে গেল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি, মর্মস্পর্শী চিঠি লিখল কিশোরী ছাত্রী

Hemant Soren: ছাত্রীদের অভিভাবকেরাও হেমন্ত সোরেনের কাজের প্রতি আপ্লুত বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল করুণানন্দ তিওয়ারি। তিনি জানান, অভিভাবকেরা হেমন্ত সোরেনের কাজের প্রশংসা করতেন। তিনি অনগ্রসরদের জন্য স্কুলে বিনামূল্যে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছিলেন।

School Student's Letter: ক্লাসের দেওয়াল থেকে সরে গেল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি, মর্মস্পর্শী চিঠি লিখল কিশোরী ছাত্রী
প্রতীকী ছবি।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Feb 13, 2024 | 11:55 AM

পালামু: রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের পড়াশোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে অনেক কিছু করেছেন। তারপরেও স্কুলের ক্লাসরুমে দেওয়াল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝাড়খণ্ডের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এই ঘটনায় হতাশ সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখল ছাত্রীটি। সেই চিঠি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

ঝাড়খণ্ডের পালামু জেলার সিএম এক্সিলেন্স স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর নাম মণীশা। বয়স মাত্র ১৩ বছর। সে রাজনীতির কিছুই বোঝে না। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে হেমন্ত সোরেন সকলের শিক্ষার জন্য, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কতগুলি পদক্ষেপ করেছেন। যা নজর এড়ায়নি কিশোরী ছাত্রীরও। তাই সে হেমন্ত সোরেনের উপর বিশেষ কৃতজ্ঞ।

রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ উন্নতি সাধনের জন্য পালামু জেলার সিএম এক্সিলেন্স স্কুলের দেওয়ালে সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ছবি টাঙানো থাকত। যা দেখে প্রতিদিন আপ্লুত হত মণীশা ও তার মতো আরও অনেক কিশোরী। কিন্তু, বর্তমানে রাজ্য-রাজনীতিতে পালাবদল ঘটে গিয়েছে। অর্থ তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন হেমন্ত সোরেন। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের ক্লাসরুমের দেওয়াল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় হেমন্ত সোরেনের ছবি।

কিন্তু, ক্লাসরুমের দেওয়াল থেকে হেমন্ত সোরেনের ছবি খুলে নেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে মণীশা। তার কাছে অন্যতম আইকন হয়ে উঠেছিলেন হেমন্ত সোরেন। তাই গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিজের হাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখল এই কিশোরী। যা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। চিঠিতে মণীশা লিখেছে, “আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য আপনার প্রচেষ্টা লক্ষ্যণীয়। আপনি আমাদের যে সুযোগ দিয়েছেন তার জন্য আমরা, শিক্ষার্থীরা কৃতজ্ঞ।”

কেবল মণীশা নয়, ছাত্রীদের অভিভাবকেরাও হেমন্ত সোরেনের কাজের প্রতি আপ্লুত বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল করুণানন্দ তিওয়ারি। তিনি জানান, অভিভাবকেরা হেমন্ত সোরেনের কাজের প্রশংসা করতেন। তিনি অনগ্রসরদের জন্য স্কুলে বিনামূল্যে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছিলেন।