মেঘালয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
শিলং: পাখির চোখ মেঘালয়। বছর ঘুরলেই মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সংগঠনকে মজবুত করতে মেঘালয় সফরে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার, মেঘালয় সফরের দ্বিতীয় দিনই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার দলীয় কর্মীদের তিনি কী বার্তা দেন সেটাই দেখার।
- আর কিছুক্ষণের মধ্যেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলংয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত সেই বৈঠকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা মুকুল সাংমা ও রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব সহ জেলা, ব্লক কমিটির প্রতিনিধি এবং যুব, মহিলা ও ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।
- দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিলঙের কাছেই একটি হোটেলে প্রি ক্রিসমাস পার্টিতে যোগ দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করবেন তিনি। থাকতে পারেন খাসি, জয়ন্তিয়া পাহাড়ের আদিবাসী প্রধান ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
- সোমবার উমরোও বিমানবন্দর থেকে সরাসরি মেঘালয়ে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সেকেন্ড-ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলং গিয়েই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, মেঘালয়ে দল জিতলে এখানেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হবে।
- বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটের আগে চালু হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এটি যে বাংলার মহিলাদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার মেঘালয়ে বিধানসভা ভোটের আগে সেখানকার মানুষের মন জিততে তৃণমূল সুপ্রিমো একইভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাস খেললেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
- সোমবার দুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উমরোও বিমানবন্দরে নামতেই তাঁদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান মুকুল সাংমা সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
- শিলং বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খাসি ভাষায় উষ্ণ অভিবাদন জানান স্থানীয়রা।
- গত নভেম্বরে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ১১ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সেটাই তৃণমূলের বড় ভরসা।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে দলের বিস্তৃতি শুরু করেছে তৃণমূল। যদিও গোয়া, ত্রিপুরার ভোটে তৃণমূলের কর্মসূচি বিশেষ দাগ কাটতে পারেনি। বরং কংগ্রেস ও বামেদের ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করতে চাইছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বাম ও কংগ্রেস। এবার মেঘালয়ে তৃণমূল প্রভাব ফেলতে পারবে কিনা সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।