নয়া দিল্লি: চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে কয়লা সঙ্কট। যেকোনও মুহূর্তেই অন্ধকার নামতে পারে দেশজুড়ে। কীভাবে সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চিন্তাভাবনা চললেও, উপায় মেলেনি কোনও। শেষ অবধি আমদানির পথেই হাঁটতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোল ইন্ডিয়া জ্বালানি আমদানি করতে চলেছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির সঙ্কট দেখা দেওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই শক্তি মন্ত্রকের তরফে এ বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে।
বিশ্বের সবথেকে বড় কয়লা উৎপাদক কোল ইন্ডিয়া। বিগত কয়েক বছরে বিদেশ থেকে কয়লা বা অন্যান্য জ্বালানি আমদানি করার প্রয়োজন না পড়লেও, বিগত প্রায় এক বছর ধরেই একাধিক সময়ে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রের তরফেও কয়লা সঙ্কট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গত এপ্রিল মাসেই দেশে চরম কয়লা সঙ্কট দেখা গিয়েছিল। একাধিক রাজ্যে ব্য়াপক মাত্রায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। গত ৬ বছরে সর্বাধিক বিদ্য়ুৎ বিভ্রাট ঘটেছে এই বছরই। এপ্রিলের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্যই জ্বালানি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম কোল ইন্ডিয়া জ্বালানি আমদানি করতে চলেছে।
রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রকের চিঠিতে বলা হয়েছে যে কোল ইন্ডিয়া ‘গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট’ বেসিসে কয়লা আমদানি করতে চলেছে। এগুলি বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও স্বাধীন তাপবিদ্যুৎ উৎপাদক কেন্দ্রগুলিতে সরবরাহ করা হবে। কোল ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় কয়লা সচিব সহ কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিদ্যুতের ব্য়াপক চাহিদা ও পর্যাপ্ত কয়লার জোগান না থাকায়, ২০২২ সালের তৃতীয় ভাগে দেশে আরও চরম কয়লা সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শক্তি মন্ত্রকের চিঠিতে জানানো হয়েছে, প্রায় সমস্ত রাজ্যের তরফেই বলা হয়েছে যে তারা যদি কয়লার জন্য একাধিক টেন্ডার ডাকে, তবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। তার বদলে কেন্দ্রের অধীনে কোল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে যদি কয়লা আমদানি করা হয়, তবে কেন্দ্র ও রাজ্য-উভয়ই উপকৃত হবে।
এদিকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরই যে রাজ্যগুলি টেন্ডার ডাকা হয়েছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।