নয়া দিল্লি : দেশে বিদ্যুৎ সঙ্কট (Power Crisis) নিয়ে ক্রমেই বাড়ছিল উদ্বেগ। এমনকী বিদ্যুৎ ঘাটতি চরম জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও শোনা যাচ্ছে আশার কথা। সরকারি সূত্র মতে, এখনও পর্যন্ত ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৩০ দিনের বেশি কয়লা মজুত রয়েছে। খাতায় কলমে এখনও কোল ইন্ডিয়ার (Coal India) হাতে ৭২.৫ মিলিয়ন টন কয়লা মজুত রয়েছে। বর্তমানে ভারতে সমস্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে গড়ে ২২ মিলিয়ন টন কয়লা মজুত রয়েছে। তবে সব রাজ্যের অবস্থা একইরকম না হলেও, যে মহারাষ্ট্রকে নিয়ে সবথেকে বেশি উদ্বেগের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল সেখানেও পর্যাপ্ত পরিমাণে কয়লা মজুত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তারপরেও আপতকালীন পরিস্থিতিতে সঙ্কট মোকাবিলা করার জন্যই ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির সঙ্গে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি ভিত্তিতে আলাপ-আলোচনা চলছে বলেও জানা যাচ্ছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গ্রীষ্মের শুরুতে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে প্রতি বছরই সাময়িক কয়লা সঙ্কট দেখতে পাওয়া যায় গোটা দেশে। এবছর সেই কারণেও খানিক ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে করোনা সঙ্কটের জেরে অফিস, স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠান প্রায় দু’বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা খানিক কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে অর্থনীতির চাকা নতুন করে ঘুরতে শুরু করায় ফের বাড়তে থাকে চাহিদা। তবে সেকথা মাথায় রেখে বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদনও অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। শুধুমাত্র এপ্রিলেই কয়লা উৎপাদনের পরিমাণ ২০ থেকে ২২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
তবে আশঙ্কার আবহ তৈরি হয়েছিল অন্য কারণে। সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশনের (All India Power Engineers Federation) উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে গোটা দেশেই সমস্ত থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টে দ্রুত বড় মাত্রায় কয়লা সঙ্কট দেখা দিতে পারে। আর সেই কারণে অন্ধকার ঘনাতে পারে গোটা দেশেই। সবথেকে বেশি সঙ্কটে ছিল অন্ধ্র প্রদেশ,তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, মধ্য প্রদেশ,মহারাষ্ট্র, গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগঢ়ের মতো রাজ্যগুলি। তবে সঙ্কট যে সাময়িক ভাবে তৈরি হয়েছিল তা মেনেছেন সরকারি আধিকারিকেরাও। তবে ধীরে ধীরে ফের ফিরছে স্থিতাবস্থা। আর তাতেই স্বস্তিতে আমজনতা।