নয়া দিল্লি: লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে চিন সেনাদের হাতে শহীদ হয়েছিলেন তিনি। দেশের হয়ে নিজের প্রাণ দিতে একবারও ভাবেননি কর্ণেল সন্তোষ বাবু। তাঁর বীরত্বকে কুর্নিশ জানিয়ে আজ, তাঁকে মরনোত্তর মহাবীর চক্র সম্মানে ভূষিত করা হল। এরই সঙ্গে কর্ণেল সন্তোষের সঙ্গে লাল ফৌজের বিরুদ্ধে অপারেশন স্নো লেপার্ডে অংশগ্রহন করে নিহত বাকি চার সেনা জওয়ানকে বীর চক্র উপাধি দেওয়া হয়েছে।
হায়দরাবাদ থেকে আণুমানিক ১৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুপায়েতে জন্মগ্রহন করেছিলেন কর্ণেল বাবু। তিনি ১৬ তম বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। গত বছরই গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। তারপর থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের মধ্য উত্তেজনা বেড়েছিল।
গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের মধ্যে ৪৫ বছরে প্রথমলবার এই ধরনের সংঘর্ষ হয়েছিল। এই সংঘর্ষের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকে। এই সংঘর্ষে সন্তোষ বাবু সহ মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা দুই দেশের সেনাদের মধ্যে লাগাতার সংঘর্ষ চলতে থাকে। এই সংঘর্ষে সেনার তরফে ৬০০ জনের বাহিনী অংশগ্রহন করেছিল বলেই জানা গিয়েছিল। গালওয়ানের এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাদাখ সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে পৌঁছেই তিনি সেনাদের বীরত্বে ভূয়য়ী প্রশংসা করেছিলেন।
দেখে নিনি ভিডিয়ো
#WATCH | Col Santosh Babu accorded Mahavir Chakra posthumously for resisting Chinese Army attack while establishing an observation post in the face of the enemy in Galwan valley in Ladakh sector during Operation Snow Leopard.
His mother and wife receive the award from President. pic.twitter.com/vadfvXBz9M
— ANI (@ANI) November 23, 2021
Col Santosh Babu accorded Mahavir Chakra posthumously for resisting Chinese Army attack while establishing an observation post in the face of the enemy in Galwan valley in Ladakh sector during Operation Snow Leopard.
His mother and wife receive the award from President. pic.twitter.com/oxonlAvEWL
— ANI (@ANI) November 23, 2021
প্রসঙ্গত, চিন ও ভারতের সম্পর্কে অবনতি দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের এক অনুষ্ঠানে এই কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন স্বয়ং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছিলেন, “আমি মনে করি দুই দেশের সম্পর্ক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই নিয়ে চিনের সংশয়ের কোনও অবকাশ নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোন কোন বিষয়গুলি থেকে সমস্যা তৈরি হচ্ছে সেই নিয়ে সংশয় থাকার কারণ নেই। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াই ই-র সঙ্গে আমার অনেকবারই আলোচনা হয়েছে। আপনারা সকলেই জানেন আমি সোজাসুজি, পরিষ্কার ও যুক্তিসঙ্গতভাবে কথা বলে থাকি। বৈঠকে আমি ঠিক সেইভাবেই কথা বলেছি। আমি নিশ্চিত তাদের যদি আমার কথা শোনার হত তবে তারা তা অবশ্যই শুনতে পারত।”