Coromandel Express Accident: সিগন্যালিং-এ সর্বনাশ! করমণ্ডল দুর্ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়ল রেল মন্ত্রকে
Coromandel Express Accident: রেল মন্ত্রীর নির্দেশে সেই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। রিপোর্টে কী আছে, তা নিয়ে কোনও আধিকারিক মুখ খুলছেন না।
নয়া দিল্লি: একমাসের মধ্যেই জমা পড়ল বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার রিপোর্ট। বৃহস্পতিবার রেলওয়ে বোর্ডের কাছে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে ‘কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি’। গত ২ জুন বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০০ জনের। বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে রেলের সুরক্ষা নিয়ে। রেল মন্ত্রীর নির্দেশে সেই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। রিপোর্টে কী আছে, তা নিয়ে কোনও আধিকারিক মুখ খুলছেন না। তবে সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার জন্য সিগন্যালিং- এর ত্রুটিকেই অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
এদিকে, বালেশ্বরের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে আরও। রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন, এমন একজনের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার। অর্থাৎ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৯৩। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে।
‘কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি’ ছাড়াও এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-কে। ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনার জেরে একাধিক উচ্চপদস্থ রেলের আধিকারিকের বদলি হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তেও সিগন্যালিং-এর সমস্যার কথাই উঠে এসেছে।
ঘটনার দিন বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল উচ্চগতিতে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারলে কার্যত ছিটকে পড়ে ট্রেনের বগিগুলি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যু হয় বহু যাত্রীর। একের পর এক দেহ উদ্ধার করা হয় বগিগুলি থেকে। লাইনচ্যুত হয় যশবন্তপুর এক্সপ্রেসও। ঘটনার পর প্রথম থেকেই সঙ্কেত ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। স্বয়ংক্রিয় সঙ্কেত ব্যবস্থা কি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন কেউ? সেই উত্তর খুঁজতেই তদন্ত করছিল রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশন বা সিআরএস।
সাম্প্রতিককালে অন্যতম বড় রেল দুর্ঘটনা এটি। মৃতদেহগুলির এমন অবস্থা হয়েছিল যে, আত্মীয়রা অনেক ক্ষেত্রে শনাক্তও করতে পারেননি। পরে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনার পর ওড়িশায় ছুটে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ছিলেন রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।