নয়া দিল্লি: মণিপুর (Manipur) ইস্যুতেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের (Narendra Modi Government) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। গত দু-দিন অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পর আজ, বৃহস্পতিবার আলোচনার তৃতীয় দিন লোকসভায় জবাবি ভাষণ দিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝেই লোকসভা ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। মণিপুর ইস্যুতে মুখ না খোলার জন্যই ওয়াকআউট করেন বলে সংসদ থেকে বেরিয়ে জানান বিরোধীরা। যদিও বিরোধীরা লোকসভা ওয়াকআউট করার পরই মণিপুর ইস্যুতে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের ওয়াকআউট (Walked out) নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন তিনি।
এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি বিকেল ৫টা ৫ মিনিট নাগাদ ভাষণ দিতে ওঠেন। তারপর দীর্ঘ বক্তৃত্বা দেন। দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মণিপুর নিয়ে একটি কথাও শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর মুখে। যদিও প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা ‘মণিপুর-মণিপুর’ করে শ্লোগান দেন। কিন্তু, তিনি কংগ্রেস জমানার সঙ্গে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতির তুলনা তুলে ধরেন। বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেস ও পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে তোপ দাগেন। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ নিয়েও কটাক্ষ করেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী মণিপুর প্রসঙ্গ তোলেননি। যার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের দেড় ঘণ্টার মাথায় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ লোকসভা ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী, অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেস সাংসদ থেকে অন্যান্য বিরোধীরাও একজোট হয়ে ‘শেম-শেম’ বলে লোকসভা ওয়াকআউট করেন। সংসদ থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মণিপুর নিয়ে মন্তব্য না করার প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষও করেন।
যদিও বিরোধীরা ওয়াকআউট করার পরই মণিপুর নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের ওয়াকআউট প্রসঙ্গেও খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা অনাস্থা এনেছেন, প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের জবাব শোনার মতো ধৈর্য্য নেই। কটাক্ষের সুরে তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রে যাঁদের ভরসা নেই, তাঁরা বলার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু শোনার জন্য প্রস্তুত নয়। কেবল চিৎকার করে এবং পালিয়ে যায়।” এপ্রসঙ্গে মণিপুর নিয়ে আলোচনার বার্তা দিলেও বিরোধীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।