AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sachin Pilot: ভোটের আগেই কংগ্রেস ছাড়ছেন সচিন? নতুন দল তৈরির জোর জল্পনা

Congress Infighting: আগামী ১১ জুন সচিন পাইলটের বাবা  রাজেশ পাইলটের মৃত্যুদিন। ওইদিনই নতুন দলের ঘোষণা করতে পারেন পাইলট।

Sachin Pilot: ভোটের আগেই কংগ্রেস ছাড়ছেন সচিন?  নতুন দল তৈরির জোর জল্পনা
সচিন পাইলট। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2023 | 11:21 AM
Share

জয়পুর: শুধুই প্রতিশ্রুতি। বাস্তবে ফল মিলছে না কিছুই। ২০১৮ সালের শেষভাগ থেকে রাজস্থান কংগ্রেসের অন্দরে যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল, এত বছর পার করেও তার আগুন ধিকিধিকি করে জ্বলছিল। এবার বিস্ফোরণের সম্ভাবনা। শীর্ষ নেতৃত্বের ফাঁপা প্রতিশ্রুতিতে বিরক্ত কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট (Sachin Pilot)। আর দুই-তিনদিনের মধ্যেই বড় ঘোষণা করতে পারেন সচিন। সূত্রের খবর, নতুন দল তৈরির পরিকল্পনা করছেন কংগ্রেস নেতা। আগামী ১১ জুন, তাঁর বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে এই ঘোষণা করতে পারেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই যদি সচিন পাইলট দল ছাড়েন, তবে বড়সড় ধাক্কা খাবে কংগ্রেস।

চলতি বছরেই রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে ভোট প্রচারের বদলে কংগ্রেস ব্যস্ত দুই শীর্ষ নেতা- মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের মধ্য়ে বিবাদ মেটাতে। সম্প্রতিই দুই নেতাকে দিল্লিতে তলব করেছিল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে-সকলের সঙ্গেই কথা হয়। বৈঠক শেষে আসন্ন নির্বাচনে একসঙ্গে লড়ার বার্তা দিলেও, বাস্তবে যে সেই ছবিটা সম্পূর্ণ ভিন্ন, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ পদের দাবি করেও, তা না মেলায় এবার সচিন পাইলট দল ছাড়তে পারেন। অন্য কোনও দলে যোগদান নয়, বরং নিজের রাজনৈতিক দল গঠন করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।   

সূত্রের খবর, আগামী ১১ জুন সচিন পাইলটের বাবা  রাজেশ পাইলটের মৃত্যুদিন। ওইদিনই নতুন দলের ঘোষণা করতে পারেন পাইলট। আপাতত কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের জবাবেরই অপেক্ষা করছেন তিনি। যদি বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজের বিরুদ্ধে সরকার তদন্ত শুরু না করে, তবে তিনি দল থেকে ইস্তফা দেবেন, এমনটাই পাইলটের ঘনিষ্ঠ মহলে গুঞ্জন।

২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই মুখ্য়মন্ত্রী পদ নিয়ে প্রবীণ বনাম নবীনের লড়াই শুরু হয়েছিল। একদিকে ছিলেন অশোক গেহলট, অন্য়দিকে সচিন পাইলট। সেই সময় দল অশোক গেহলটকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেয়, সচিন পাইলটকে দেওয়া হয় উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ। কিন্তু ২ বছর পার হতেই বিরোধ চরমে ওঠে। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন পাইলট, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ক্ষমতার সমান ভাগ দাবি করেন। সেই থেকে বিরোধ চলছে। একাধিকবার পাইলটের দলবদলের জল্পনা শোনা গেলেও, প্রতিবারই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব, মূলত গান্ধী পরিবার তাঁকে বুঝিয়ে দলে রাখে। এবারও সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হয় নাকি নতুন দল গড়েন পাইলট, তাই-ই এখন দেখার।