নয়াদিল্লি : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় এবার তলব বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। সোমবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) আধিকারিকরা। ৭৯ বছরের বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা। ন্যাশনাল হেরাল্ড আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তাঁর বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা। আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনের(PMLA) অধীনে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হবে ।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী ?
জওহরলাল নেহরু ১৯৩৮ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা শুরু করেছিলেন। আর এই পত্রিকা প্রকাশিত হত অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের (AJL) অধীনে। ন্যাশনাল হেরাল্ড কংগ্রেসের মুখপত্র হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই পত্রিকা দেশের অন্যতম ইংরেজি পত্রিকা ছিল।
একসময় অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে কংগ্রেসের কাছ থেকে ৯০.২৫ কোটি টাকা বিনাসুদে ঋণ নিয়েছিল এজেএল। কিন্তু, সেই টাকা শোধ করতে পারেনি তারা। ২০০৮ সালে এই পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১০ সালে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে এজেএল। সেইসময় ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামে সদ্য গঠিত একটি সংস্থা এজেএল অধিগ্রহণ করে। নতুন এই সংস্থার দুই ডিরেক্টর হলেন সুমন দুবে এবং স্যাম পিত্রোদা। তাঁরা দুজনেই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীও এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত। ৯০.২৫ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা জানিয়ে এজেএল অধিগ্রহণ করে ইয়ং ইন্ডিয়া।
আর এই অধিগ্রহণ নিয়ে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২০১২ সালে আদালতে মামলা করেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি অভিযোগ করেন, সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং কয়েকজন ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে মাত্র ৫০ লাখ টাকা দিয়ে এজেএল অধিগ্রহণ করে। এজেএল-এর প্রায় সমস্ত শেয়ারহোল্ডার ও সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে। যদিও রাহুল, সনিয়া-সহ অভিযুক্তরা সকলেই দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার ইডি-র অফিসে হাজিরা দিলেন খাড়গে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এই নেতা বিজেপির তীব্র সমালোচক। হাত শিবিরের অভিযোগ, খাড়গে সক্রিয়ভাবে সরকারের বিরোধিতা করায় কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন Ropeway Accident: পাহাড়ের ওপর ছিঁড়ে গেল রোপওয়ে, তার ধরে ঝুলছে মানুষ! ঘুরতে গিয়ে বলি ৩