শিলং: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জয়ের পরই সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের উন্নীত করা লক্ষ্য স্থির করে তৃণমূল (TMC)। সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) ‘অভিষেক’ হওয়ার পরই একের পর এক রাজ্যকে পাখির চোখ করেছে ঘাসফুল শিবির। ত্রিপুরা (Tripura) থেকে সেই যাত্রা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার (Goa) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফেলেইরিও (Luizinho Faleiro)। এবার ‘মিশন’ মেঘালয় (Meghalaya)। সূত্রের খবর, তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা (Mukul Sangma)।শুধু তিনি একা নন, যোগ দিতে পারে আরও একাধিক বিধায়ক।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় সাংমার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক প্রস্থ বৈঠক হয়েছে। এরপরই জল্পনা তৈরি হয় সাংমার তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে। কিন্তু দু’তরফের কেউই সেই বিষয়ে মুখ খোলেনি। মেঘালয় ফিরে গিয়ে সাংমা তৃণমূলের প্রস্তাবকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, তৃনমূল নেতৃত্বের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকের পর তিনি কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করতে পারেন।
মুকুল সাংমা এখন মেঘালয়ের বিরোধী দল নেতা। সে রাজ্যে তিনিই কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা। মুকুল যদি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সে ক্ষেত্রে অন্তত ১৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক দলত্যাগ করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। মুকুলকে ত্রিপুরার মঞ্চ থেকে যোগদান করানোর ভাবনা ছিল অভিষেকের। তবে সেখানে অভিষেকের সভা যাওয়া আপাতত স্থগিত হয়ে গিয়েছে। তাই যোগদান কোথায় হবে, তা ঠিক হয়নি। দুর্গাপুজোর পরে, কালীপুজোর আগে ত্রিপুরা যেতে পারেন অভিষেক।
কয়েকদিন আগেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরিও (Luizinho Faleiro) কলকাতায় এসে যোগ দেন তৃণমূলে। রীতিমতো সদলবলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলে এসেছেন তিনি। গত বুধবার প্রথমে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো। এরপরই তৃণমূল ভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। লুইজিনহো-সহ মোট ১০ জন এ দিন তৃণমূলে যোগদান করেন। লুইজিনহোর সঙ্গে এক বিধায়ক ও কংগ্রেস প্রদেশ কমিটির একাধিক সম্পাদক ও সহ-সম্পাদকও যোগ দেন তৃণমূলে। তবে লুইজিনহো জানিয়েছেন, মমতা বা অভিষেক নয়, তাঁকে তৃণমূলে আসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। আইপ্যাকের সঙ্গেই বৈঠক হয়েছিল তাঁর। এরপরই দলবদলের সিদ্ধান্ত নেন।
সুতরাং ২০২৪ কে সামনে রেখে এভাবেই একের পর এক রাজ্যে নিজেদের অস্বিত্ব প্রকট করতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। সর্বভারতীয় স্তরে দলকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে রাজনৈতিক চমক দিয়ে তৃণমূলের যোগ দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।