নয়া দিল্লি: ওঠা-নামা করছে সংক্রমণের গ্রাফ। পরপর দু’দিন আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের নীচে থাকার পর ফের বেড়ে গেল দেশের করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। বিগত দু’দিন ধরে সংক্রমণ গ্রাফ নিম্নমুখী থাকার কারণে মনে করা হয়েছিল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ২৪৬ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ২৩ হাজার ৫২৯ জন।
এদিকে আবার করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সামান্য বাড়ল। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৮ হাজার ২৪৬ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ২৮ হাজার ১৭৮ জন। ওঠা-নামা করছে মৃত্যুর গ্রাফ। দেশে একদিনে মৃতের সংখ্যাও স্থিতিশীল নয়। গত এতমাস যাবত সেই সংখ্যাটা কখনও বড়ে ৩০০-র গণ্ডি ছুঁয়েছে। কখনও বা কমে ২০০ ঘোরাফেরা করেছে। গতকালের তুলনায় মৃত্যু কমে দাঁড়িয়েছে ২৭৭।
তবে কেরলে ধীরে ধীরে কমছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও আক্রান্তের নিরিখে দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে কেরল। গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে সেখানে ১৫ হাজার ৯১৪ জনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। গতকাল মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে গিয়েছিল। কিন্তু ফের মহারাষ্ট্রের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৩ জন। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতেও বেড়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্তে হয়েছেন ১ হাজার ৬১২ জন। চতুর্থস্থানে থাকা কর্নাটকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৩৩ জন।
আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এখনও ৭০০ আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে এই রাজ্যের সংক্রমণ গ্রাফ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৯ জন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৭৯৩ জনের।
এদিকে, উত্তর প্রদেশের মতো বড় রাজ্যে কিন্তু সংক্রমণের রিপোর্ট অনেকটাই কম। গোটা রাজ্যে দৈনিক মোট আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১৪ জন। বিগত দু’সপ্তাহ ধরে এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ এর নীচেই রয়েছে। তবে মোট মৃতের সংখ্যা ২২ হাজারের আশে পাশেই ঘোরাঘুরি করছে। অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ জন। অন্যদিকে, গত কয়েকদিন ধরে ভাবাচ্ছিল মিজ়োরামের সংক্রমণের গ্রাফ। এখনও সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ভাবাচ্ছে দেশকে। গত ২৪ সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৭০জন।
টিকাকরণের হার বাড়িয়ে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রেণে রাখার চেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৫১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৮৯কোটি ২ লাখ ৮ হাজার৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।