নয়া দিল্লি: গত বছরই রাজনীতি-নির্বাচন থেকে কিছুদিন দূরত্ব বজায় রাখতে চেয়েছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর(Prashant Kishore)। সেই সময়ই জল্পনা শোনা গিয়েছিল যে তিনি কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিতে পারেন, কিন্তু শেষ অবধি তা আর বাস্তবে রূপান্তরিত হয়নি। পিকে কংগ্রেসে যোগদান সম্পর্কে যাবতীয় জল্পনা অস্বীকার করলেও, শুক্রবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) স্বীকার করে নিলেন যে গতবছর কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে পিকের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছিল, তবে তা শেষ পর্যন্ত আর হয়ে ওঠেনি।
কংগ্রেসে যে প্রশান্ত কিশোরের যোগদানের সম্ভাবনা ছিল, এ কথা স্বীকার করে নিয়েই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেন, “আমার মনে হয় একাধিক কারণে ওই পরিকল্পনা সফল হয়নি। কিছুটা ওনার দিক থেকে সমস্যা ছিল, কিছুটা আমাদের। আমি এই বিষয়ে গভীরে ঢুকতে চাই না। সংক্ষেপে বলতে গেলে কিছু ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারিনি, সেই কারণেই একসঙ্গে এগিয়ে চলার আলোচনায় ইতি পড়ে।”
দলে বহিরাগতের প্রবেশ নিয়েই প্রধান বিরোধ ছিল কিনা, জানতে চাইলে তিনি গোটা বিষয়টিই গুজব বলে উড়িয়ে দেন। প্রিয়ঙ্কা বলেন, “যদি এতই সংশয় থাকত, তবে দলে যোগদান নিয়ে এত আলোচনাই হত না।”
তবে কি পিকে সত্য়িই কংগ্রেসে যোগ দিত, এই প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেন, “হ্যাঁ, কোনও এক মুহূর্তে সেই সম্ভাবনাই ছিল, কিন্তু শেষ অবধি তা আর হয়নি।”
গত বছরই ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ঘন ঘন বৈঠক সেরেছিলেন সনিয়া, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে। রাহুল গান্ধীর বাড়িতে তাঁর বৈঠকের ছবি ভাইরালও হয়। সেই সময় জল্পনা শোনা যায় যে, কংগ্রেসে পিকের যোগদান পাকা, অপেক্ষা কেবল আনুষ্ঠানিক যোগদানের।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে হঠাৎই বদলে যায় সমীকরণ। কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ঝাঁঝালো আক্রমণও করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “কোনও ব্যক্তিরই কংগ্রেসে যোগদান করা উচিত নয়, বিশেষত যেখানে বিগত ১০ বছরে ৯০ শতাংশ নির্বাচনেই হেরেছে ওই দল।”
সেই সময় পিকে আরও বলেছিলেন যে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে কংগ্রেস, তবে বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে থাকলে তা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য়, কংগ্রেসে যোগ না দিলেও একাধিক নির্বাচনে ভোটকুৃশলী হিসাবে সাহায্য করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। ২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে পিকে-র উপরই ভোটের যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তবে সেই নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে কংগ্রেস। অন্যদিকে, একই বছরে পঞ্জাবে পিকে-র চালেই বিপুল ভোটে জয়ী হন অমরিন্দর সিং এবং ক্ষমতায় কংগ্রেস আসে। অমরিন্দর সিংয়ের মুখ্য পরামর্শদাতা হিসাবেও তাঁকে নিয়োগ করা হয়, কিন্তু কয়েক মাসের মধ্য়েই সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রশান্ত কিশোর।
আরও পড়ুন: EC on Poll Campaigning: বিনা প্রচারেই কি হবে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন? আজই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন