EC on Poll Campaigning: বিনা প্রচারেই কি হবে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন? আজই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন

EC on Poll Campaigning: দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৩ লাখের গণ্ডি পার করছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটমুখী ৫ রাজ্য়ে নির্বাচনী প্রচার করতে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন।

EC on Poll Campaigning: বিনা প্রচারেই কি হবে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন? আজই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন
রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2022 | 1:25 PM

নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের (COVID-19) কারণে ২২ জানুয়ারি অবধি সমস্ত নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা (Ban on Election Campaign) জারি করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আজ সেই নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন। এদিকে, দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৩ লাখের গণ্ডি পার করছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটমুখী ৫ রাজ্য়ে নির্বাচনী প্রচার করতে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।

পথের কাঁটা করোনা:

আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব সহ ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের ফল প্রকাশ হবে ১০ মার্চ। এরই মাঝে মাথাব্যাথা হয়ে উঠেছে উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। গত বছরের শেষভাগ থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছিল করোনা সংক্রমণ। বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন করানো যথেষ্ট বড় চ্যালেঞ্জ।

আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন:

গত ৮ জানুয়ারি ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময়ই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে ১৫ জানুয়ারি অবধি সশরীরে উপস্থিত থেকে যাবতীয় সভা অর্থাৎ সমাবেশ, মিছিল, রোড শো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে কমিশনের তরফে সেই বিধিনিষেধ বাড়িয়ে ২২ জানুয়ারি অবধি করে দেওয়া হয়। আজ সেই বিধিনিষেধের শেষদিন হওয়ায় ফের নির্বাচনী প্রচারের বিধিনিষেধ নিয়ে বৈঠকে বসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, এদিন সকাল ১১টায় ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, প্রথমে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে বিধিনিষেধ নিয়ে আলোচনা করবেন। এরপর তারা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের আধিকারিকদের থেকে দেশের, বিশেষত ভোটমুখী পাঁচ রাজ্য়ের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানবেন। পরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসার ও অন্যান্য আধিকারিকদের থেকেও পরামর্শ নেবেন। এরপরই নির্বাচনী প্রচারে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

কী কী বিধিনিষেধ জারি রয়েছে?

নির্বাচনের দিন ঘোষণার দিনই সমস্ত জনসভা, মিছিল, মিটিং, রাস্তার মোড়ে সভা, বিজয় উৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বাড়ি গিয়ে প্রার্থীদের প্রচারের ক্ষেত্রেও প্রতিনিধিদের সংখ্যা ৫-এ বেঁধে দেওয়া হয়। তবে কোনও সভাগৃহ বা বদ্ধ জায়গায় বৈঠকের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৩০০ জন বা আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ জনগণ উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের জারি করা নির্দেশিকাও এ ক্ষেত্রে অনুসরণ করা যেতে পারে।

গত সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশনের তরফে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আদর্শ আচরণ বিধি ও করোনাবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারগুলিকেও এই কাজে সহায়তার অনুরোধ করা হয়।

আরও পড়ুন: Priyanka Gandhi on Prasant Kishore: ‘কংগ্রেসেই যোগ দিত পিকে, কিন্তু…’, শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলের কারণ ফাঁস করলেন প্রিয়ঙ্কা