নয়া দিল্লি: বেঙ্গালুরুর বৈঠক সেরে ফেরার পথেই চরম বিপদের মুখে পড়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ও তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি ফেরার পথেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানের জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) করানো হয় ভোপালে (Bhopal)। পরে তাঁরা অন্য একটি বিমানে করে দিল্লিতে ফেরেন। বিমানে বিপত্তি, জরুরি অবতরণের সময়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, তা জানালেন রাহুল গান্ধী। মায়ের প্রশংসা করেই ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেন রাহুল, ৭৬ বছরের বৃদ্ধা মা কীভাবে চাপের পরিস্থিতিতেও নিজেকে সামলে রেখেছিলেন, তা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেন কংগ্রেস নেতা।
ইন্সটাগ্রাম পোস্টে রাহুল গান্ধী তাঁর মা সনিয়া গান্ধীর একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিটি বিমানের জরুরি অবতরণের সময়ের। সেখানে দেখা যাচ্ছে পায়ের উপর পা তুলে শান্তভাবে বসে রয়েছেন সনিয়া গান্ধী। মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরা। বিমানের জরুরি অবতরণের মুহূর্তেও তাঁর মুখে একফোঁটা দুশ্চিন্তার ছাপ দেখা যায়নি। ছবির ক্যাপশনে রাহুল গান্ধী লেখেন, “মা, চাপের মুহূর্তেও শান্ত থাকার আদর্শ উদাহরণ।”
ছবিটি পোস্ট করার এক ঘণ্টার মধ্যেই ১.৮ লক্ষ ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী লাইক করেন।
মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ছিল বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৈঠক। সেই বৈঠকেই যোগ দিতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। বৈঠক শেষে বিকেলে তাঁরা একটি চার্টার্ড বিমানে করে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু মাঝ আকাশেই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। তড়িঘড়ি ভোপাল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। যদিও বিমানবন্দরের ডিরেক্টর রামজি অবস্তি জানিয়েছেন, এটি প্রায়োরিটি ল্যান্ডিং ছিল, এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং নয়।
ভোপালে বিমান অবতরণের খবর পেয়েই তড়িঘড়ি বিমানবন্দরে ছুটে যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ পাচোরি, বিধায়ক পিসি শর্মা, আরিফ মাসুদ ও কুণাল চৌধুরী। তাঁরা রাহুল ও সনিয়া গান্ধীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। পরে রাত সাড়ে ৯টায় ইন্ডিগোর একটি বিমানে করে নয়া দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা।