নয়া দিল্লি: একসময়ে দেশের শাসনপাট ছিল তাদের হাতেই, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেবল ক্ষমতাই হারানো নয়, বরং রাজনীতির ময়দান থেকেও অস্তিত্ব মুছে যেতে চলেছে কংগ্রেসের (Congress)। বৃহস্পতিবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election Results 2022) ফল প্রকাশ হতেই কংগ্রেসের কঙ্কালসার চেহারাটা উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতেই দলীয় শীর্ষ নেতারা যখন হার মানতেই ব্য়স্ত, সেই সময় ফের একবার দলের নজরে দৃষ্টিপাত করার প্রয়োজনের কথা মনে করিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর(Shashi Tharoor)। পাঁচটি রাজ্যেই দলের হারের পর তিনি বলেন, ‘যদি পুরনো ঐতিহ্য ও সোনালী দিনগুলি ফিরে পেতে চায় দল, তবে পরিবর্তন এড়ানো সম্ভব নয়।’
কংগ্রেসের অন্দরে বিগত কয়েক বছর ধরেই সুর চড়িয়েছেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। এবার তাদের দলেই নাম লেখালেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও। শীর্ষ নেতৃত্বের হার স্বীকার ও তার সপক্ষে যে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, তা গ্রহণ না করে তিনি দলের অন্দরে পরিবর্তনের কথাই বলেন তিনি।
And also of unemployment, inflation and bodies floating down the Ganga thanks to the mismanagement of the second wave of the #Covid pandemic. Also of communal hatred and divisive politics. Let’s not be glib here. https://t.co/s1ED7jO3MV
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) March 10, 2022
দীর্ঘ এক টুইটে থারুর বলেন, “আমরা সবাই যারা জাতীয় কংগ্রেসে বিশ্বাস রাখি, তারা সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে খুবই দুঃখ পেয়েছি। কংগ্রেস যে ভারতের চিন্তাধারায় বিশ্বাসী, সময় এসেছে তা পরিবর্তন করার। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্বে এমনভাবে পরিবর্তন আনা উচিত, যা ফের একবার সাধারণ মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। একটা বিষয় স্পষ্ট- যদি আমরা সাফল্য চাই, তবে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।”
1/2 All of us who believe in @INCIndia are hurting from the results of the recent assembly elections.
It is time to reaffirm the idea of India that the Congress has stood for and the positive agenda it offers the nation — and (contd)
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) March 10, 2022
পরবর্তী টুইটে তিনি উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করলেও, সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে শশী থারুরের কংগ্রেসের উদ্দেশে করা টুইটই। উল্লেখ্য, শশী থারুরের আগে কংগ্রেস নেতা জয়বীর শেরগিলও টুইট করে বলেন, “হার হারই হয়। এর কোনও ব্যাখ্যা হতে পারে না। তাই ভোট ভাগাভাগি, কম ব্যবধানে হারের মতো কথা না বলাই ভাল। জনতার মতামতকে স্বীকার করা এবং কিন্তু-যদি বাদ দিয়েই হার স্বীকার করে নেওয়া। পরিবর্তনের প্রথম পদক্ষেপ হবে এটাই।”