হায়দরাবাদ: কখনও অশোক গেহলট বনাম সচিন পাইলট তো, কখনও ভূপেশ বাঘেল বনাম টিএস সিং দেও। অতীতে অমরিন্দর সিং ও নভজ্যোৎ সিং সিধুকে নিয়েও চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল কংগ্রেসকে। বারংবার দলের অন্দরে ফাটল, দলীয় নেতাদের মধ্যে দূরত্ব সামনে চলেছে কংগ্রেসের। এর জেরে নানা সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে। সেই অন্তর্দ্বন্দ্ব লুকোতেই এবার কড়া নির্দেশ দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর। বিজেপিকে ‘স্বৈরাচারী সরকার’ বলে উল্লেখ করে গণতন্ত্র বাঁচানোর স্বার্থে নিজেদের মধ্যে মতাদর্শগত দূরত্ব সরিয়ে রেখে কাজ করার নির্দেশ দিলেন তিনি।
দলীয় কর্মীদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সনিয়া গান্ধী সকল নেতাকে সংযত হতে বলেন। কোনও সমস্যা হলেই সংবাদমাধ্য়মের সামনে মুখ খুলতে বারণ করেন তিনি। এমন কোনও মন্তব্যও করতে বারণ করেন, যা দলের স্বার্থের ক্ষতি করতে পারে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া জোটের তরফে যে সমস্ত সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বয়কটের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাও যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়।
সূত্রের খবর, দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী কংগ্রেস কর্মীদের বোঝান যে ব্য়ক্তিগত বা দলীয় সমস্যা তৈরি হলে, তা নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে ফেলা শ্রেয়। প্রয়োজনে নেতারা শীর্ষ নেতৃত্বের দ্বারস্থও হতে পারেন কিন্তু সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে যেন বিরত থাকেন।
সনিয়ার সুরে সুর মিলিয়ে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও বলেন, “ব্যক্তিগত স্বার্থ সরিয়ে রেখে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম করকতে হবে। ব্যক্তিগত বিরোধ ভুলে দলের সাফল্যকেই সবথেকে গুরুত্ব দিতে হবে। একতা ও নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমেই একমাত্র সাফল্য অর্জন সম্ভব। তার প্রমাণ কর্নাটকে পাওয়া গিয়েছে। সাফল্য অর্জন করতে আমাদের ঐক্য়বদ্ধ থাকতে হবে এবং নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে লড়তে হবে।”
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির দ্বিতীয় দিনে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে সমস্ত স্তরের নেতাদের নির্দেশ দেন, সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে যেন নিয়মিত দেখা করা হয় এবং তাদের সমস্যা শোনা হয়। তিনি বলেন, “এটা আমাদের বিশ্রাম নেওয়ার সময় নয়। বিগত ১০ বছর ধরে বিজেপির শাসনে সাধারণ মানুষের সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব, কৃষক, শ্রমিক, মহিলা ও যুব প্রজন্মের সমস্যা, তাদের উদ্বেগ নিয়ে কথা বলত চান না। আমরা নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারি না। এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে।”