নয়া দিল্লি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি শাসিত এনডিএ জোটকে হারাতে জোট বেধেছে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু সেই জোটে প্রথম থেকেই বেঁধেছে ‘ঘোট’! বিরোধী দলগুলির নিজেদের মধ্যেই কোন্দল মিটছে না। এবার জি-২০র নৈশভোজে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়া ঘিরে শুরু হল বিতর্ক। তীব্র কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করলেও, কেন নৈশভোজে গেলেন মমতা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
রবিবার কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “যদি উনি জি-২০র নৈশভোজে যোগ না দিতেন, তবে কিছু হত না। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ত না। মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত না। কোরান অপবিত্র হয়ে যেত না। অবিজেপি অনেক মুখ্য়মন্ত্রীই তো যাননি। বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। ওখানে কী এমন আকর্ষণীয় বিষয় ছিল যে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় তড়িঘড়ি দিল্লি ছুটলেন?”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কেন্দ্রের আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেওয়ার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “ডিনার টেবিলে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশে বসেছিলেন!”
এদিকে, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “অধীর চৌধুরীর এই বিষয় নিয়ে জ্ঞান দেওয়ার দরকার নেই। কিছু প্রোটোকল প্রশাসনিক দিক থেকেও মেনে চলতে হয়। উনি ঠিক করে দেবেন না যে মুখ্যমন্ত্রী জি-২০ সম্মেলনের অংশ ওই নৈশভোজে যোগ দেবেন কি না।”
তিনি আরও বলেন, “সকলেই জানেন ইন্ডিয়া জোটের অন্য়তম স্তম্ভ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না।”
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন জি-২০র নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্য়মন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল নৈশভোজে যোগ দিতে চাইলেও, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কারণে তাঁরা দিল্লিতে অবতরণ করতে পারেননি। দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এই নৈশভোজে যোগ দেননি।