নয়া দিল্লি: কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) পুত্র কার্তি চিদম্বরমকে (Karti Chidambaram) বৃহস্পতিবারই জেরা করেছে সিবিআই (CBI)। এদিন সকালেই তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন কার্তি। তাঁর বিরুদ্ধে চিনা সংস্থার কর্মীদের ঘুষের বিনিময়ে ভারতের ভিসা পাইয়ে দেওয়া অভিযোগে নতুন করে মামলা রুজু করেছে সিবিআই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮ নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছিলেন কার্তি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি, তাঁকে জেরা করছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, কার্তির এক সংস্থার মাধ্যমেই চিনা নাগরিকদের (Chinese Citizen) ভিসার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। নিজের প্রভাব খাটিয়ে তাদের ভিসা পাইয়ে দিয়েছিলেন চিদম্বরম পুত্র, বিনিয়মে ভেদান্তা গ্রুপ ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছে। জেরা করতে চেয়ে বুধবারই কংগ্রেস সাংসদকে (Congress MP) তলব করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের কাছে কার্তি কিছুদিন সময় চেয়েছিলেন। বিশেষ সিবিআই আদালত বিদেশ থেকে ফেরার ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই কার্তিকে গোয়েন্দাদের কাছে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার জেরা মুখোমুখি হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে, সিবিআইয়ের দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এর আগেও কার্তি চিদম্বরমকে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ১৭ মে ভিসা মামলায় সিবিআই কার্তি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এস ভাস্কররমণ নামের এক চাটার্ড অ্যাকাউন্টকে গ্রেফতার করেছিল। এমনকী গত সপ্তাহে গোটা দেশের ৭ টি জায়গায় কার্তি ও তাঁর বাবা পি চিদম্বরমের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট থেকে তথ্য পেয়েই ২০১৮ সালে ‘ঘুষের বিনিময়ে ভিসা’ মামলা রুজু করেছিল সিবিআই। প্রাথমিক তদন্ত চালানোর পরই ১৪ মে কার্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। কার্তি ছাড়াও সিবিআইয়ের এফআইআরে ভাস্কররমণ, তালওয়ান্দি সাবো পাওয়ার লিমিটেড, মানসা, বিকাশ মাখারিয়া, তালওয়ান্দি সাবো প্রতিনিধি, এবং মুম্বইয়ের বেল টুলস লিমিটেডের নাম ছিল। সিবিআইয়ের দাবি ভাস্কররমণ নিয়ে ভিসার বিনিময়ে ঘুষের অঙ্ক নিয়ে রফা করেছিলেন। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ভেদান্তা নামের যে সংস্থার সঙ্গে কার্তি যুক্ত, সেই সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টরে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমও রয়েছেন। এখন এই মামলা নিয়ে তদন্ত কোন পথে এগোয়, সেটাই এখন দেখার।