কলকাতা: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন নিয়ে লড়াই ক্রমে জমে উঠছে। মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন খাড়্গে। নির্বাচনের আগে এখন বিভিন্ন রাজ্যে প্রচারের যাচ্ছেন দুই নেতা। সবকিছু ঠিক থাকলে, আগামী কয়েকদিনে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়া দুই নেতাই নিজেদের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আগামী ১০ অক্টোবর রাজ্যে আসবে মল্লিকার্জুন খাড়্গে। অন্যদিকে, শশী থারুর রাজ্যে আসতে পারেন ১২ অক্টোবর। সূত্রের খবর থারুর টেক্কা দিতেই নাকি আগে ভাগে বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন খাড়্গে। প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনও করার কথা তাঁর।
তবে, তাঁর এই সাংবাদিক সম্মেলনের পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারণ, খাড়্গেকে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করার জায়গা করে দেওয়া হলেও, থারুরকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই দ্বিচারিতার মধ্য দিয়ে খাড়্গের প্রতি তাঁর সমর্থন সরাসরি প্রকাশ করছেন অধীর চৌধুরী, এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
গান্ধী পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে কোনও সরকারি প্রার্থী নেই। গান্ধী পরিবার নিরপেক্ষ থাকার জন্য নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। তবে, তারপরও একেবারে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন থেকেই গান্ধী পরিবার তথা এআইসিসির সদস্যরা খাড়্গের প্রতি তাঁদের সমর্থন গোপন রাখেননি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন, খাড়্গের সঙ্গে দলীয় সদর দফতরে হাজির হয়েছিলেন দলের প্রায় ২৩ জন সিনিয়র নেতা।
একদিন আগেই তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে প্রচার করতে গিয়ে চূড়ান্ত হেনস্থা হতে হয়েছে শশী থারুরকে। সাথিয়ামূর্তি ভবনে এক প্রচার সভার আয়োজন করেছিলেন থারুর। কিন্তু তাঁর বক্তব্য শুনতে ৭০০ জন কংগ্রেস প্রতিনিধির মধ্যে হাজির হন মাত্র ১২ জন। সূত্রের খবর, শশী থারুরের সভায় গেলে, দলের ‘সরকারি’ প্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়্গের বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। আর খাড়্গে গান্ধী পরিবারের প্রার্থী বলেই ধরা হচ্ছে। তাই, থারুরের সভায় যাওয়া বকলমে গান্ধীদের বিরোধিতা করার সামিল বলে মনে করা হতে পারে। সেই ভয়েই থারুরের সভায় যাচ্ছেন না কংগ্রেস কর্মীরা।