নয়া দিল্লি: ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে হারার পর কংগ্রেসের (Congress) সেই যে ‘দুঃসময়’ শুরু হয়েছে, তা ৭ বছর পরও কাটতে চাইছে না। বিগত কয়েক বছর ধরে কংগ্রেসের (AICC) অর্থনৈতিক সংকট (Financial Crunch) বৃদ্ধি পেতে পেতে বর্তমানে তা উঠেছে চরমে। রীতিমতো অর্থ কষ্টে ভুগছে শতাব্দী প্রাচীন এই রাজনৈতিক দল। বাধ্য হয়ে এই সঙ্কট থেকে বেরোতে এখন নিজেদের দখলে থাকা রাজ্যগুলির কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হচ্ছে। সূত্রের খবর, কোষাগারের ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ দশা ঘোচাতে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাবের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।
সাধারণত কংগ্রেসের দলীয় বৈঠকে দলের সাংগঠনিক রদবদল ও অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়ে থাকে। তবে আজকের বৈঠকে বাছা বাছা কয়েকটি রাজ্য অংশ নিয়েছিল যেখানে দলের আর্থিক অবস্থা নিয়ে আলোচনায় অনেকটা সময় ব্যায় করা হয়। মূলত নানা রাজ্যের নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, দলের এমন সঙ্গীন আর্থিক অবস্থা যখন, তখন কিছু দায়িত্ব সবাইকে ভাগ করে নিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা জানিয়ে দেন, বৈঠকে প্রধানত দলের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে অর্থ সঙ্কট আরও বেশি করে ভাবাচ্ছে সনিয়া-রাহুলদের। পশ্চিমবঙ্গ-সহ কেরল, অসম, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে নির্বাচনের প্রচার ও অন্যান্য খাতে যে টাকা ব্যায় করতে হবে, সেটাই জোগাড় করে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে হাত শিবির। এই নির্বাচনগুলিতে যদি ভাল ফলাফল না হয়, তবে কংগ্রেসের আর্থিক পরিস্থিতি যে আরও করুণ হবে, তা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। এই অবস্থায় দল চাইছে দ্রুত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে।
আরও পড়ুন: ‘সাংস্কৃতিক চৈতন্যে ধাক্কা’, ‘টুম্পা-প্রচার’ নিয়ে সিপিএমকে একহাত শুভেন্দু মাইতির
যেভাবে একের পর এর রাজ্য কংগ্রেস ক্ষমতা হারাচ্ছে, তাতে দলের আর্থিক পরিস্থিতি এমনটা হওয়ায় অবাক নয় রাজনৈতিক মহল। বর্তমানে দেশের মাত্র তিনটি রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার রয়েছে। তা হল- পঞ্জাব, রাজস্থান ও ছত্তিসগঢ়। পুদুচেরিতে কংগ্রেস ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে শরিক সঙ্গীদের নিয়ে সরকার চালাচ্ছে কংগ্রেস। যদিও দুই রাজ্যেই আসন সংখ্যা কম থাকাও কংগ্রেসের গুরুত্বও আহামরি কিছু নয়।
আরও পড়ুন: ‘শুধু নন্দীগ্রাম থেকে লড়ে দেখান’, মমতাকে ‘মেগা চ্যালেঞ্জ’ বিজেপি নেতাদের