নয়া দিল্লি: হার! আরও একটা নিশ্চিত হারের সম্মুখীন শতাব্দী প্রাচীন জাতীয় কংগ্রেস। রাজ্যসভায় এবার আহমেদ প্যাটেলের (Ahmed Patel) আসনও হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের (Congress)।
২০১৭ সালে মোদী-শাহের (Modi-Shah) গুজরাট (Gujrat) থেকে আহমেদ প্যাটেলকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে নিয়ে এসেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। ওই আসনে আহমেদ প্যাটেলের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের ১৮ অগস্ট পর্যন্ত। তবে চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ তাঁর আকস্মিক প্রয়াণের কারণে ওই আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। এবার এই আসনেই ভোট হবে (Rajya Sabha Poll)।
এই মুহূর্তে গুজরাটে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। বিধানসভায় তাঁদের আসন সংখ্যা ১১১। কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৬৫টি আসন। রাজ্যসভায় আহমেদ প্যাটেলের জেতা আসনে জিততে কংগ্রেসের প্রয়োজন ৫০ শতাংশ ভোট। সেটা না হলেও কমপক্ষে দরকার ৮৮টি ভোট, যা এই মুহূর্তে আদায় করা কংগ্রেসের পক্ষে শুধু অসম্ভবই নয় এক কথায় ‘দিবাস্বপ্ন’, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন: ২ কোটি কৃষকের সই নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছে কংগ্রেস
এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যসভায় আরও শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। শুধু আহমেদ প্যাটেলের আসনই নয়, প্রয়াত বিজেপি সাংসদ অভয় ভরদ্বাজের আসনেও বিজেপির জয় কার্যত নিশ্চিত।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই দুই আসনে জয়যুক্ত হওয়ার পর একশ আসনের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যাবে দেশের শাসক দল। অতীতে অমিত শাহ এবং স্মৃতি ইরানির আসনেও জয় আদায় করে নিয়েছে বিজেপি। এই দুই আসনের একটিতে জিতে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
আরও পড়ুন: দাবি না মিটলে প্রজাতন্ত্র দিবসে না আসার আর্জি! ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি আন্দোলনরত কৃষকদের
যদিও কংগ্রেস জয়শঙ্করের জয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাদের দাবি ছিল, এই দুই আসনে একসঙ্গে ভোট হলে অন্তত একটি আসনে হাত চিহ্নের জয় নিশ্চিত ছিল। অন্যদিকে শাসক পক্ষের দাবি, ২০০৯ সাল থেকেই ধারাবাহিকভাবে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আসছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফেও জানানো হয়, আলাদা আলাদা আসনে পৃথকভাবে ভোট করার রীতি দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। দু’টি আসনের জন্যই আলাদা করে নোটিস দিয়ে ভোট করানো হবে।
উল্লেখ্য, গুজরাট থেকে ৫ বার রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন আহমেদ প্যাটেল। এর মধ্যে ৪ বার তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিতেছেন। গতবার বিজেপি অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে হারাতে পারেনি। কিন্তু নভেম্বরে তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে এবার সেই আসনও হাত ছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের। বলার অপেক্ষা রাখে না যে দীর্ঘকাল সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতার পদ অলঙ্কৃত করে রাখা গুরুত্বপূর্ণ নেতা আহমেদ প্যাটেলের আসন হাত ছাড়া হওয়া কংগ্রেস জন্য অত্যন্ত অস্বস্তির কারণ হতে চলেছে।