জুন মাসেই কংগ্রেস পাবে ‘নতুন মুখ’, জোর জল্পনা রাহুলের অবস্থান ঘিরে

নির্বাচনী কমিটির প্রস্তাব গ্রহণ করেই মে মাসে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ জুন মাস নাগাদ জানা যাবে, কে হচ্ছেন কংগ্রেসের নতুন সভাপতি।

জুন মাসেই কংগ্রেস পাবে নতুন মুখ, জোর জল্পনা রাহুলের অবস্থান ঘিরে
ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে কেসি বেণুগোপাল। ছবি:ANI

|

Jan 22, 2021 | 6:08 PM

নয়া দিল্লি: গতবছরের শেষভাগেই দলের তরফে বলা হয়েছিল, নতুন বছরে কংগ্রেস পেতে চলেছে নতুন সভাপতি। কে বসবেন সভাপতির পদে, কবেই বা হবে সভাপতি নির্বাচন, সেই বিষয়ে জল্পনা শুরু হলেও মিলছিল না কোনও সঠিক উত্তর। অবশেষে একটি প্রশ্নের জবাব দিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল (KC Venugopal)। শুক্রবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি(Congress Working Committee)-র বৈঠক শেষে জানালেন, আগামি জুন মাসেই নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে।

কংগ্রেসের সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে গতবছরের শেষভাগ থেকেই জল্পনা চলছিল। আজকের বৈঠকেও প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল সভাপতি নির্বাচনই। সূত্র অনুযায়ী, দলের নির্বাচন কমিটি মে মাসে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের প্রস্তাব দেয়। তবে দলের একাংশ সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানায়। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সামনেই পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু সহ মোট পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে নতুন সভাপতি বেছে নেওয়া হলে নির্বাচনী প্রচারেও বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। অতএব আগামি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হোক।

তবে দলের প্রবীণ নেতারা এই ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাঁদের মতে, নির্বাচনের ঠিক আগে দলের অভ্যন্তরে রদবদল হলে নির্বাচনী প্রচারে প্রভাব পড়বে। সুতরাং আর কিছুদিন অপেক্ষা করে যাওয়াই ভাল। শেষমেশ নির্বাচনী কমিটির প্রস্তাব গ্রহণ করেই মে মাসে দলের অভ্য়ন্তরীণ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ জুন মাস নাগাদ জানা যাবে, কে হচ্ছেন কংগ্রেসের নতুন সভাপতি।

আরও পড়ুন: প্রয়োজনীয়তা পূরণে দেশ সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী

নতুন সভাপতি হিসাবে বারংবার রাহুল গান্ধীর নামই সামনে উঠে এসেছে। এই বিষয়ে গত ডিসেম্বরের বৈঠকে দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala)-ও বলেছিলেন, “দলের ৯৯ শতাংশ কর্মীই রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)-কে সভাপতি রূপে দেখতে চান।” তবে সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী দলের হয়ে কাজ করতে চাইলেও এখনই সভাপতির দায়িত্ব নিতে রাজি নন। সেই কারণেই সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলাফলের পরই হারের দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন রাহুল এবং সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সেই সময় যোগ্য কোনও উত্তরসূরী খুঁজে না পাওয়ায় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী (Sonia gandhi) নিজেই অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

কিন্তু একের পর এক রাজ্য পঞ্চায়েত ও অন্যান্য নির্বাচনে কংগ্রেসের হারের পরই দলের তরফ থেকে দ্রুত একজন নতুন মুখের দাবি তোলা হয়। সেই দাবি পূরণেই গত বছরের শেষভাগ থেকে আলোচনা চলছে।

আজ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কৃষকদের নিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়। একইসঙ্গে বালাকোট হামলা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের প্রস্তাবেও সিলমোহর দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ফেসবুক থেকে তথ্য চুরি! কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার নামে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের