Conjoined Twins secured Govt Job: এক শরীর দুই প্রাণ নিয়ে হার না মানা লড়াই! সরকারি চাকরি পেলেন অমৃতসরের সোহনা-মোহনা

Amritsar Conjoined twins: জীবনযুদ্ধে এ এক হার না মানা লড়াই। যে পরিস্থিতির কথা আমরা হয়ত কেউ দুঃস্বপ্নের ভাবতে পারি না, সেখানে প্রতি মুহূর্তে আসা চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার সাহস, আর অদম্য জেদ।

Conjoined Twins secured Govt Job: এক শরীর দুই প্রাণ নিয়ে হার না মানা লড়াই! সরকারি চাকরি পেলেন অমৃতসরের সোহনা-মোহনা
হার না মানা লড়াইয়ে হাসি ফুটল সোহনা - মোহনার (ছবি - এএনআই)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2021 | 11:26 PM

অমৃতসর : পঞ্জাবের সোহনা আর মোহনা। দুজনের দুই আলাদা হৃদয় রয়েছে। হাত আলাদা। কিডনি আলাদা। স্পাইনাল কর্ডও আলাদা। কিন্তু একটা লিভার দিয়েই কাজ চালান তাঁরা। গল ব্লাডার আর দুই পা – সেটাও দুজনকে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হয়। এভাবেই ১৯ বছর কেটে গিয়েছে। এই বিশেষ শারীরিক গঠনের জন্য অনেক অবহেলা সহ্য করতে হয়েছে তাঁদের ছোটবেলা থেকে। কিন্তু আর না। এবার হয়ত ভাগ্য ফিরল কিছুটা তাঁদের। সরকারি চাকরি পেয়েছেন সোহনা।

পঞ্জাব বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডে চাকরি পেয়েছেন ১৯ বছর বয়সি সোহনা। ২০ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছেন সোহনা। আর তাঁর সঙ্গে থাকেন মোহনাও। দুজন মিলে বিদ্যুৎ নিগমের বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশের দেখভাল করেন তাঁরা। পঞ্জাব স্টেট পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের সাবস্টেশন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র রবীন্দর কুমার জানিয়েছেন, “সোহনা এবং মোহনা এখানে আমাদের বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশের দেখভালে সাহায্য করেন। সোহনা এখানে চাকরি পেয়েছেন। সেই সঙ্গে মোহনাও আমাদের কাজে সাহায্য করেন।” রবিন্দর কুমার আরও জানিয়েছেন, সোহনা-মোহনার এই কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল। সেই কারণেই তাঁদের কাজে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে নিজেদের প্রমাণ করার এই সুযোগ পেয়ে পঞ্জাব সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সোহনা-মোহনা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন, “আমরা এই কাজটা পেয়ে খুব খুশি। ২০ ডিসেম্বর কাজে যোগ দিয়েছি। আমরা পঞ্জাব সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সেইসঙ্গে যে স্কুলে আমরা পড়াশুনো করেছি, যাঁরা আমাদের এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে, সেই পিঙ্গলওয়াড়া ইনস্টিটিউশনের প্রতিও আমরা কৃতজ্ঞ।”

সোহনা এবং মোহনার জন্মের পর, তাদের বাবা-মা সন্তানদের দায়িত্ব নিতে চাননি। এরপর তাঁদের নিয়ে আসা হয় দিল্লির এইমসে। কিন্তু দিল্লি এইমসের চিকিৎসকরা তাঁদের পৃথকীকরণের জন্য অপারেশন করতে চাননি। কারণ, এই অপারেশন প্রাণঘাতী হতে পারত। তারপর থেকেই এক শরীরেই বড় হতে থাকে দুই প্রাণ।

জীবনযুদ্ধে এ এক হার না মানা লড়াই। যে পরিস্থিতির কথা আমরা হয়ত কেউ দুঃস্বপ্নের ভাবতে পারি না, সেখানে প্রতি মুহূর্তে আসা চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার সাহস, আর অদম্য জেদ। এর উপর ভর করেই আজ নিজেদের সামনে আসা প্রতিটা হার্ডেলকে জয় করে এগিয়ে চলেছেন সোহনা আর মোহনা।

আরও পড়ুন : Third Wave of Coronavirus: ফেব্রুয়ারিতেই তৃতীয় ঢেউ? ভয় ধরানো তথ্য আইআইটি কানপুরের গবেষকদের